হলে গিয়ে ‘সাপলুডু’ দেখুন : মিম

এক যুগ আগে সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন বিদ্যা সিনহা মিম। মাথায় ওঠে লাক্স সুন্দরীর মুকুট। সেই সুবাদে সুযোগ হয় জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের ‘আমার আছে জল’ ছবিতে অভিনয়ের। পান পুরস্কারও। সেই শুরু। আর তাঁকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
টেলিভিশন খুললেই মিম। বিজ্ঞাপনচিত্রের কল্যাণে ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ। একাধারে মডেল, অভিনেত্রী ও লেখক। রূপে-গুণে অনন্যা বিদ্যা সিনহা মিম দুই বাংলার চলচ্চিত্রে কাজ করছেন। আগামী পরশু (২৭ সেপ্টেম্বর) বড়পর্দায় উঠছে এই তারকার নতুন ছবি ‘সাপলুডু’। ছবিতে তাঁর নায়ক হালের আরেক সেনসেশন আরিফিন শুভ।
হাতে একদম সময় নেই। ছবির প্রচারণায় ব্যস্ত নায়িকা। এরই ফাঁকে এক বিকেলে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বললেন বিদ্যা সিনহা মিম। জানালেন, ‘সাপলুডু’ ছবির গল্প, নিজের ভূমিকা, এমনকি ব্যক্তিজীবনের মজাদার গল্পও।
‘সাপলুডু’ ছবিতে মিমের চরিত্রের নাম পুষ্প। মফস্বলের মেয়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। ছবির কেন্দ্র মেয়েটির জীবনসংগ্রাম। আর? আর কিছু বলতে চাইলেন না মিম। ‘বাকিটুকু সবাই প্রেক্ষাগৃহে দেখুক’, এটাই তাঁর চাওয়া।
বন্ধু হিসেবে, অভিনেতা হিসেবে আরিফিন শুভর গুণকীর্তন করলেন মিম। এই তারকার ভাষায়, “শুভ খুবই ফ্রেন্ডলি। খুবই ভালো। যখন অভিনয় করি, আমার মনে হয় নরমালের চেয়ে অভিনয়ের সময় সেটা আরো ভালো হয়। কারণ, যেকোনো সিকোয়েন্স করতে গেলে—সব সময় যেটা হয়—দুজন মিলে রিহার্সেল করি, আমার যদি কোনো ভুল থাকে, তখন ও আমাকে বলে যে ‘মিম, এই জিনিসটা এভাবে করলে ভালো হবে।’ একজন সহ-অভিনেতার কাছ থেকে এটা পাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই আছে, এমনও হয় যে ভুল দেখছে, তবে বলছে না। তো, নিজের ভুল তো আসলে তেমন ধরা যায় না। কেউ যদি ধরিয়ে দেয়, আমার মনে হয় সেটা বেশি ভালো হয়।”
দেখুন ভিডিওতে :
শুটিং সেটে খুব মজা হতো বলে জানালেন বিদ্যা সিনহা মিম। সেটে বিভিন্ন বিষয়ে সহ-অভিনেতারা তাঁর সঙ্গে মজা করতেন। তবে তিনি খুব একটা যে ফান উপভোগ করেন, এমনটা নয়।
মিম জানালেন, তিনি ভীষণ রাগী। রেগে গেলে নাকি ঘরে ভাঙচুর শুরু করে দেন। বললেন, ‘রেগে গেলে আশপাশে যারা থাকে, তাদের সঙ্গে খুব রূঢ় আচরণ করি। বাসায় থাকলে হাতের সামনে যা কিছু পাই সেটা ভাঙি। যদি দরজা থাকে, তবে সেই দরজায় অনেক জোরে বাড়ি মারি; এটা বোঝানোর জন্য যে আমার মাথায় এখন অনেক রাগ উঠে আছে।’
শুধু অভিনয় বা চলচ্চিত্রের খবরই নয়, তারকাদের ব্যক্তিগত জীবনের কথা শোনার জন্যও হাঁ হয়ে থাকেন ভক্তরা। অবশ্য মিমের ভক্তদের জন্য কোনো সুখবর নেই। জানালেন, বাস্তব জীবনে আজতক কাউকে হাঁটু গেড়ে প্রেমপ্রস্তাব দেওয়ার ‘সুযোগ হয়নি’ তাঁর। তবে ফিল্মে অনেকবারই নায়ক তাঁর সামনে হাঁটু গেড়ে প্রেমপ্রস্তাব দিয়েছেন। বাস্তবজীবনে তাঁর ‘বয়ফ্রেন্ড নেই’।
মিমের একটি চলচ্চিত্রের নাম ‘আমি তোমার হতে চাই’। বাস্তব জীবনে কার হতে চান? এই অভিনেত্রীর হাসিমাখা উত্তর, ‘ফিল্মে তো সবারই হচ্ছি। এখন শুভ ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করছি। পরে আরেক হিরোর সঙ্গে করব। তো, চেঞ্জ হচ্ছে। আর বাস্তব জীবনে এখনো অবধি না।’
মিমের ভালো দিক হলো, তিনি সহজে সবাইকে বিশ্বাস করে ফেলেন। যে কারণে অবশ্য অনেকবার আঘাতও পেয়েছেন। আর মন্দ দিক—প্রচণ্ড জেদ, রাগ। যদিও নাকি ‘আগের চেয়ে অনেক কমেছে, কিন্তু যেকোনো মুহূর্তেই আমার হুট করে প্রচণ্ড রাগ হয়ে যায়। আর রাগের বশে দেখা যায়, অনেক কিছু করে ফেলি, যেটা আসলে করা উচিত নয়।’
যদি হুট করে বলিউড সুপারস্টার সালমান খান মিমকে ফোন দিয়ে বলেন, একটি ছবিতে জুটি বাঁধতে চান, তবে কী করবেন? সঙ্গে সঙ্গে মিম ‘হ্যাঁ’ বলে দেবেন।
আগামী শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে গোলাম সোহরাব দোদুল পরিচালিত ‘সাপলুডু’। চিত্রনাট্যও তাঁর। বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়ার ব্যানারে নির্মিত এ সিনেমায় মিম-শুভ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, সালাউদ্দিন লাভলু, জাহিদ হাসান, শতাব্দী ওয়াদুদ, মারজুক রাসেল।
দর্শকের উদ্দেশে মিম বললেন, “প্লিজ, বন্ধুবান্ধব ও পরিবারসহ আপনারা হলে গিয়ে ‘সাপলুডু’ সিনেমাটি দেখুন। আমি এতটুকু বলতে পারি, ছবিটি আপনাদের খুব খুব ভালো লাগবে।”