‘ফের আক্রমণ হলে ভারতকে উপযুক্ত জবাব দেবে পাকিস্তান’

ভারতকে যুদ্ধবিরতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর। আজ শুক্রবার (১৬ মে) এক সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাফকাত আলী খান সতর্ক করে বলেছেন, যদি ভারত আগ্রাসন শুরু করে, তবে পাকিস্তান উপযুক্ত জবাব দেবে। খবর ডনের।
পেহেলগামে হামলার জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করে গত ৬ ও ৭ মে রাতে পাকিস্তানে বিমান হামলা চালায় ভারত, যার ফলে বেসামরিক লোকজন হতাহত হয়। এরপর দুই দেশের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু হয়, যা সপ্তাহজুড়ে চলে। মার্কিন হস্তক্ষেপে শেষপর্যন্ত উত্তেজনা কমে আসে।
এদিকে আজ পাকিস্তানে পালিত হচ্ছে ইউম-ই-তাশাক্কুর, যেখানে জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর বিজয়কে স্মরণ করা হচ্ছে। এই বিজয় ছিল ভারতের বিরুদ্ধে অপারেশন বুনিয়ানুম মারসুস— যা মারকাহ-ই-হক-এর একটি অংশ।
সংবাদ সম্মেলনে শাফকাত আলী খান বলেন, “পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধবিরতির সাম্প্রতিক ঘোষণা একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। আমরা আশা করি ভারত এর বাস্তবায়নে আন্তরিকতা দেখাবে।”
তিনি জানান, যুদ্ধবিরতির পেছনে একাধিক বন্ধু রাষ্ট্রের ভূমিকা ছিল এবং পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছে।
মুখপাত্র আরও বলেন, ১০ মে থেকে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন এবং “পর্যায়ক্রমে উত্তেজনা হ্রাসের কাঠামোগত প্রক্রিয়া” নিয়ে সম্মত হয়েছেন।

তিনি জানান, গুডওয়েল-এর অংশ হিসেবে পাকিস্তান বুধবার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক কনস্টেবলকে ফেরত পাঠিয়েছে, যার বিনিময়ে পাকিস্তান রেঞ্জার্সের এক সৈন্যকে ফিরিয়ে দেয় ভারত।
শাফকাত আলী খান বলেন, যখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে কাজ করছে, তখন ভারতের বক্তব্য একপাক্ষিক, সত্য বিকৃতি এবং পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে অনর্থক সন্দেহ সৃষ্টি করছে।
মুখপাত্র আরও বলেন, “পাকিস্তান একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্র এবং যুদ্ধবিরতি রক্ষা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তিনি আরও বলেন, “ভারত যেন যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে এবং উসকানিমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকে— আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি আমাদের এটাই অনুরোধ। ভারত যদি আবার আগ্রাসন শুরু করে, তাহলে পাকিস্তানের আর কোনো বিকল্প থাকবে না— আমরা জবাব দেব।”
শেষে তিনি পুনরায় সংলাপ এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানান, বিশেষ করে অধিকৃত কাশ্মীরসহ সকল বিরোধপূর্ণ ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধানে পাকিস্তানের সদিচ্ছার কথা উল্লেখ করেন।