পাকিস্তানে বন্যায় ১৪০ শিশুসহ ২৯৯ জনের প্রাণহানি

পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে জুন মাসের শেষের দিক থেকে শুরু হওয়া ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৯৯ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ১৪০ জন শিশু রয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পিটিভির খবর অনুযায়ী, এই মৌসুমি বৃষ্টিপাত দেশজুড়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে। রোববার (৩ আগস্ট) জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) এই তথ্য জানিয়েছে।
জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই অঞ্চলে সাধারণত মৌসুমি বৃষ্টিপাত হয়, যা গ্রীষ্মের তীব্র তাপ থেকে মুক্তি দেয় ও পানি সরবরাহ পূরণ করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে, দুর্বল নিষ্কাশন ব্যবস্থা বা ঘনবসতিপূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে এই ভারি বৃষ্টিপাত প্রায়শই মারাত্মক বন্যা, ভূমিধস ও বিপুল সংখ্যক মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে।
এনডিএমএ-এর পূর্ববর্তী হিসাব অনুযায়ী, গত ২৬ জুন থেকে মৃতের সংখ্যা ছিল ২৩৪ জন ও আহত হয়েছিলেন ৫৯৬ জন।
এনডিএমএর সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বছরের আকস্মিক বন্যা ও প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে কমপক্ষে ২৯৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন, আরও ৭১৫ জন আহত হয়েছেন। মোট মৃতের মধ্যে ১৪০ শিশু, ১০২ জন পুরুষ ও ৫৭ জন নারী রয়েছে।

আহত ৭১৫ জনের মধ্যে ২৩৯ জন শিশু, ২০৪ জন নারী ও ২৭২ জন পুরুষ রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
ভারি বৃষ্টিপাত ও বন্যার ফলে সরকারি সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবেদনে অনুমান করা হয়েছে, মোট এক হাজার ৬৭৬টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৫৬২টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। বৃষ্টিপাতের সময় প্রায় ৪২৮টি গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
শনিবার (২ আগস্ট) পাকিস্তান আবহাওয়া বিভাগ (পিএমডি) আগামী সপ্তাহে দেশের উচ্চ ও মধ্য অঞ্চলে আরও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। পিএমডি প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসনকে নগর এলাকায় সম্ভাব্য বন্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে।