‘শান্তি চুক্তি’ : নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ নিয়ে ‘আলোচনায় প্রস্তুত ইউক্রেন’

রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে একটি নিরপেক্ষ অবস্থান গ্রহণ করা নিয়ে আলোচনায় প্রস্তুত ইউক্রেন—এমনটাই বলছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে, বিষয়টি গণভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ করতে হবে এবং তৃতীয় কোনো নিরপেক্ষ পক্ষের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে বলে দাবি করেছেন তিনি। খবর বিবিসির।
এদিকে, ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান কিরিলো বুদানভ বলেছেন, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ প্রধান শহরগুলো দখলে নিয়ে তাঁর দেশের বৈধ সরকারকে উৎখাত করতে ব্যর্থ হওয়ার পর রাশিয়া এখন ইউক্রেনে ‘উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো পরিস্থিতি’ সৃষ্টি করতে চাইছে।
কিরিলো বুদানভ বলেন, ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর ভাষায় ‘পুরো ইউক্রেনকে গিলতে পারবেন না’, তাই তিনি ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল এবং দেশটির বাকি অংশের মাঝখানে একটি বিভক্তি রেখা চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
এদিকে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে মুখোমুখি আলোচনার পরবর্তী পর্ব আজ সোমবার থেকে তুরস্কে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের আলোচকেরা।

লুহানস্কে গণভোট?
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আরআইএ বলছে, রাশিয়া-সমর্থিত স্বঘোষিত লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকে খুব শিগগিরই রাশিয়ায় যোগদানের প্রশ্নে একটি গণভোট হতে পারে। বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা লিওনিদ পাসেচনিক এ কথা বলেছেন।
পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল দুটি ২০১৪ সালেই স্বাধীনতা ঘোষণা করে। এবং তখন থেকেই সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদী তৎপরতা চলছিল। এ বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া তাদের স্বীকৃতি দেয়। এবং এর দুদিনের মধ্যেই সেখানকার জনগণকে রক্ষার কারণ দেখিয়ে রাশিয়া ইউক্রেনে তাদের ভাষায় ‘বিশেষ সামরিক কার্যক্রম’ শুরু করে।