এশিয়া কাপের ফাইনালে যেতে বাংলাদেশের চাই ১৩৬ রান

টস জিতে জাকের আলী বলেছিলেন— ‘আমরা আগে বোলিং করে ভালো করেছি। আজও একই কাজ করতে চাই।’অধিনায়কের কথাকে বেশ গুরুত্বে সঙ্গে নিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে মরা-বাঁচার ম্যাচে সবটুকু উজাড় করে দিয়েছেন তারা। এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠতে জয়ের বিকল্প নেই এই ম্যাচে।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বল হাতে অর্ধেকটা পথ এগিয়ে রেখেছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিংয়ে নামা পাকিস্তানকে আটকে রেখেছে সীমিত সংগ্রহে। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৩৫ রান।
বল করতে নেমে শুরুতেই পাকিস্তান শিবিরে আঘাত হানে বাংলাদেশ। ইনিংসের চতুর্থ বলে তাসকিনের শিকার হন ইনফর্ম ব্যাটার সাহিবজাদা ফারহান। আগের বলে চার হাঁকানো সাহিবজাদা চতুর্থ বলেও সেই চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পয়েন্টে ধরা পড়েন রিশাদ হোসেনের হাতে। ফেরার আগে ৪ বলে ৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে। চার রানে প্রথম উইকেট হারানো পাকিস্তান দ্বিতীয় উইকেট হারায় ৫ রানে। এবার শিকার করেন শেখ মেহেদি। তিনিও একাদশে ফিরেছেন এই ম্যাচ দিয়ে। মেহেদি বিদায় করেন সাইম আইয়ুবকে। রানের খাতা খোলার আগে তালুবন্দি হন রিশাদের।
শুরুর ধাক্কায় পাওয়ার প্লেতে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে পাকিস্তান। ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ফখর আর সালমান আলী আগা। কিন্তু পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে থিতু হতে থাকা ফখরকে ফিরিয়ে আবারও পাকিস্তানকে বিপদে ফেলে দেন রিশাদ। ফেরার আগে ২১ বলে ১৩ রান করতে পেরেছেন ফখর। ২৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর রিশাদই এনে দেন আরেকটি সাফল্য। ৩৩ রানে হোসেইন তালাত ক্যাচ দেন সাইফ হাসানের হাতে। ৭ বলে ৩ করে বিদায় নেন। ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পাকিস্তান।
মাত্র ৮ ওভারে ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়েছিল পাকিস্তান। বাকিদের যাওয়া-আসার ভিড়ে একপ্রান্ত আগলে রাখা অধিনায়ক সালমান আলী আগাকে ফিরিয়েছেন ফিজ। ৪৯ রানে ৫ উইকেট হারানো পর সন্দেহ জাগে পাকিস্তান শতরান পার করতে পারবে কি না। সেখান থেকে শাহিন আফ্রিদি ও মোহাম্মদ নাওয়াজের সময়ের দাবি মেটানো দুটি ইনিংস পাকিস্তানকে লজ্জার হাত থেকে বাঁচায়। আফ্রিদি ১৩ বলে ১৯ এবং নাওয়াজ ১৫ বলে ২৫ রান করেন। আফ্রিদিকে উইকেটের পেছনে জাকেরের ক্যাচ বানান তাসকিন। নওয়াজকে পারভেজ হোসেন ইমনের দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত করেন তাসকিনই।
বাংলাদেশের পক্ষে ২৮ রানে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। ২৮ রানে মেহেদি দুটি এবং ১৮ রানে রিশাদ পান দুই উইকেট। এক উইকেট মুস্তাফিজের ঝুলিতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান : ২০ ওভারে ১৩৫/৮ (সাহিবজাদা ৪, ফখর ১৩, সাইম ০, সালমান ১৯, তালাত ৩, মোহাম্মদ হারিস ৩১, শাহিন ১৯, মোহাম্মদ নাওয়াজ ২৫, ফাহিম ১৪*, হারিস রউফ ৩*; তাসকিন ৪-০-২৮-৩, মেহেদি ৪-০-২৮-২, সাকিব ৪-০-২৮-০, রিশাদ ৪-০-১৮-২, মুস্তাফিজ ৪-০-৩৩-১)।