হৃদয়ের কাছে দল ছাপিয়ে ইগোই যেন আগে!

জয়ের কোনো বিকল্প নেই। পাকিস্তানের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ডু অর ডাই ম্যাচ। লক্ষ্যটাও বড় ছিল না। তবু শুরুতেই হোঁচট খেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ধাক্কা সামলে তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলেন সাইফ হাসান। সাইফ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেললেও অপর প্রান্তে হৃদয় যেন হাঁসফাঁস করছিলেন। পরে নিজের ইগোকে বাঁচিয়ে রেখে ম্যাচকে দিলেন জলাঞ্জলি।
হৃদয়কে একবার সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনার অফসাইডের দুর্বলতা নিয়ে কী কাজ করছেন? তিনি জবাব দিয়েছিলেন, সব ব্যাটারেরই দুর্বলতা থাকে।
হৃদয়ের সেই দুর্বলতা এখন ক্রিকেট বিশ্বে সমাদৃত। প্রতিপক্ষও সেই ফাঁদই পাতেন। হৃদয়ও বারবার ধরা দেন সেখানে। নতুবা রান আর বলের সমীকরণ মেলানোর চাপে অপ্রয়োজনীয় শট খেলে বিলিয়ে আসেন উইকেট।
পাকিস্তানের বিপক্ষে একই চিত্র মঞ্চস্থ হলো আরেকবার। হৃদয়কে বারবার অফসাইডে খেলাচ্ছিলেন পাকিস্তানি বোলাররা। হিসেব মেলাতে পারছিলেন না তিনি। রান বলের সমীকরণের চাপে মেজাজ হারিয়ে ফেলেন হৃদয়।
পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে প্রান্ত পরিবর্তনের জন্য ডেকেছিলেন সাইফকে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সাইফ ব্যাটিং প্রান্তে চলে এলেও নিজের জায়গায় অনড় থাকেন হৃদয়। পাকিস্তানের ভুলে সে যাত্রায় বেঁচে যান সাইফ।
পরের বলে আর হৃদয় বাঁচতে পারেননি। শাহিন শাহ আফ্রিদির অফ স্টাম্পের বলে লাইনের ওপর দিয়ে মারতে চান তিনি। সেই শটের জন্য হৃদয়ের পজিশন একদমই ঠিক ছিল না। ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল চলে যায় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে থাকা সাইম আইয়ুবের হাতে।
মেজাজ হারিয়ে খেলা হৃদয়ের সেই শটই যেন বাংলাদেশের ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন ভেঙে যায় তাসের ঘরের মতো।
দুই বছরেরও বেশি সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলা ব্যাটারের যেখানে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দায়িত্ব নেওয়ার কথা, সেখানে তার ভাবখানা এমন–‘ডোন্ট কেয়ার।’ আগের বলের ঝাঁঝ কার ওপর যে মেটালেন, হৃদয় নিজেও কি তা জানেন?