হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট কীভাবে করা হয়?

বর্তমানে বাংলাদেশে হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্টের চিকিৎসা চালু হয়েছে। এতে যাদের চুল নেই তাদের মাথায় নতুন চুল গজাবে। তবে কাদের ক্ষেত্রে এটি করা যাবে এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৩৫৪তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক ডা. রাশেদ মো. খান।
বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের চর্মরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : কোন রোগীদের ক্ষেত্রে হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করার পরামর্শ দেওয়া হয়?
উত্তর : অ্যান্ড্রোজেনেটিক এলোপেশিয়া। যাদের বংশগতভাবে চুল পড়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা আছে। দেখা যায়, মাথার সামনের দিকের চুলগুলো পড়ে গেছে। পেছনের ও পাশের চুলগুলো রয়ে গেছে।
এদের ক্ষেত্রে করা হয়। চুল তো লাগবে। আমরা পাশ থেকে আর পেছন থেকে নেব। আমরা পাশ থেকে চুল নিয়ে কয়েকটি সেশনে এটি করি। একেকটি সেশনে আমরা খুব বেশি চুল দিতে পারি না। বার বার করলে আমরা একটা ভালো ফলাফল পেতে পারি।
এর আগেও কিন্তু আমরা নতুন নতুন কিছু করেছি। এর মধ্যে একটি হলো মেজোথেরাপি ও পিআরপি। এটি খুবই প্রচলিত একটি চিকিৎসা। পিআরপি মানে ‘প্লেটরেট রিচ প্লাজমা’। মেজোথেরাপিতে আমরা চুলের গোড়ায় ছোট ছোট ইনজেকশন দেই। চুলটাকে যে তৈরি করবে গ্রোথ ফ্যাক্টর এগুলোকে আমরা কৃত্রিমভাবে নিয়ে এসে, ইনজেক্ট করি। আর এই গ্রোথ ফ্যাক্টর আমাদের শরীরের মধ্যেই আছে।
আমাদের যে রক্ত আছে একেকটি পদ্ধতিতে লেয়ার করে, প্লাটিলেট আলাদা করে সেটা যদি ইনজেক্ট করতে পারি, তাহলে কম খরচে করতে পারি। পিআরপি করে এখন আমরা অনেক কিছু ঠিক করছি।