তারকার শেষ
শেষ অভিমান নাবিলার সঙ্গে : মারিয়া নূর

মারিয়া নূর, এ সময়ের পরিচিত প্রিয় মুখ। জনপ্রিয় এই তারকা মাঝে মাঝে নানা কারণে ভয় পান। আপনি কি জানেন, আপনার প্রিয় এই তারকা শেষ কবে ভয় পেয়েছিলেন এবং কী নিয়ে ভয় পেয়েছিলেন? জানতে তো ইচ্ছে হতেই পারে। এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে এক আলাপে শুধু শেষ ভয় পাওয়ার গল্পই নয়, আরো অনেক শেষ ঘটে যাওয়া কিছু কথা বলেছেন মারিয়া নূর।
শেষ চমক
অনেক ভক্তই নিয়মিত আমাকে বার্তা ও শুভেচ্ছা পাঠান। কিন্তু একজন ভক্ত আমাকে প্রতিদিনই ফেসবুকে মেসেজ পাঠান এবং সেই মেসেজগুলোর ভাষাও থাকে অনেক চমৎকার। আমার সেই ভক্তের নাম রুম্মান। তাঁর বিয়ে হতে চলেছে। তাই কিছুদিন আগে তিন তাঁর বিয়ের কার্ডসহ আমাকে একটা পার্সেল পাঠিয়েছেন জিটিভির ঠিকানায়। পার্সেল খুলে আমি তো অবাক। কার্ড ছাড়াও রুম্মান আমার একটা ছবি (wooden craft) করে পাঠিয়েছেন। আমার নিজের ছবি ভিন্ন আঙ্গিকে দেখতে পেয়ে আমি খুব চমকে গিয়েছিলাম।
শেষ অভিমান
উপস্থাপক ও আমার বন্ধু নাবিলার সঙ্গে। নাবিলা আর আমি অনেক ভালো বন্ধু। নাবিলা কোনো কারণে মন খারাপ করে থাকলে আমি ভীষণ কষ্ট পাই। কিন্তু নাবিলা মন খারাপ করে থাকলে কারো সঙ্গে কথা বলতে পছন্দ করে না। এমনকি আমার সঙ্গেও না। কিছুদিন আগে ওর মন খারাপ দেখে আমি নিজেকে সামলাতে না পেরে জানতে চেয়েছিলাম মন খারাপের কারণ কি? কিন্তু আমি প্রশ্ন করতেই নাবিলা অনেক রেগে যায় এবং আমাকে বলে, ‘আমি এখন কিছু বলতে পারব না।’ তখন খুব অভিমান হয়েছিল নাবিলার ওপর। কিন্তু সেই অভিমান বেশিক্ষণ থাকেনি। নাবিলা ফোন করে পরে আমাকে সরি বলেছিল।
শেষ রাগ
গেল সপ্তাহে আমি একটা নাটকের শুটিং করছিলাম। পুরো ইউনিট আমার সঙ্গে খামখেয়ালি করেছে। তারা আমাকে সকাল ৮টায় কল টাইম দিয়েছিল, আমি সেই সময়েই সেটে উপস্থিত ছিলাম। কিন্তু শুটিং শুরু হয় রাতে। সব কিছু গোছানোও ছিল না। এসব দেখে খুব রাগ হয়েছিল আমার।
শেষ দামি উপহার
আম্মুর কাছ থেকে পেয়েছি। সুইস একটা ঘড়ি আম্মু আমাকে উপহার দিয়েছিলেন। ঘড়ির দাম ছিল ৫০ হাজার টাকা।
শেষ শপিং
গেল ১৮ নভেম্বর শপিং করেছি। শুটিং শেষ করে সন্ধ্যার পর উত্তরার বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শপিং মল ঘুরে ঘুরে অনেক শপিং করেছি আমি। আমার মনে আছে মোট ১৭ হাজার টাকার শপিং করেছিলাম।
শেষ ভয়
দুদিন আগেই ভয় পেয়েছিলাম। মানিক মিয়া এভিনিউ রোডে আমি নিজেই গাড়ি চালিয়ে বাসায় ফিরছিলাম। জ্যামে বসে আছি। হঠাৎ এক অপরিচিত ব্যক্তি আমার গাড়ির সামনে এসে হাজির। তারপর আমাকে সে বলছে, ‘আমি তোমার গাড়িতে উঠব।’ আমি তো ভয়ে শেষ। যতক্ষণ জ্যামে বসে ছিলাম ততক্ষণই সে ডিস্টার্ব করেছে। লোকটা বেশ ভয়ংকর ছিল, আমাকে সে চিনে না বলেই মনে হয়েছে।
শেষ বিদেশ সফর
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভুটানে বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা ছয়দিন ছিলাম। অনেক মজা হয়েছে। পাহাড় আর মেঘের লুকোচুরি দেখে তখন আমি প্রকৃতির প্রেমে ডুবে ছিলাম। ভুটান সফরের কথা আমার অনেকদিন মনে থাকবে।