রুশ তেল কেনা বন্ধের কথা অস্বীকার ভারতের, যা বললেন ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপের মুখে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করেছে ভারত- সম্প্রতি এমন খবর বেশ আলোচনায় এসেছে। যদিও প্রাথমিকভাবে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন ট্রাম্প নিজেই।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে ওয়াশিংটনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি শুনেছি ভারত আর রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না। আমি জানি না এটা সত্যি কিনা। যদি সত্যি হয়, তাহলে এটা একটা ভালো পদক্ষেপ। আমরা দেখব কী হয়।’
ট্রাম্পের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন ভারতের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য ভারতকে জরিমানার মুখোমুখি করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পরও রাশিয়ার তেল কেনা চালিয়ে যাওয়ায় সমালোচনা করেছিলেন। খবর এনডিটিভির।
তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে, তারা রাশিয়ার তেল আমদানি বন্ধ হওয়ার কোনো খবর পায়নি। এক সূত্র রয়টার্সকে বলেছে, ‘ভারতের জ্বালানি কেনাকাটা দেশের স্বার্থ এবং বাজারের ওপর নির্ভর করে। আমাদের কাছে ভারতীয় তেল কোম্পানিগুলোর রাশিয়া তেল আমদানি বন্ধ করার কোনো খবর নেই।’
ভরতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি না এলেও দেশটির মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল শুক্রবার (১ আগস্ট) একই ধরনের কথা বলেছেন। তিনি বলেন ‘আমরা বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে জ্বালানি কিনি। কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।’
কিছু সংবাদমাধ্যমে এমন খবর এসেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তার কারণে তেলের ওপর ছাড় কমে যাওয়ায় গত সপ্তাহে ভারতের রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানিগুলো রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক দেশ ভারতই সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম করেপােরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম করেপোরেশন ও ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেডের মতো বড় রাষ্ট্রীয় কোম্পানিগুলো রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল কেনার আগ্রহ দেখায়নি। এই চারটি কোম্পানি ভারতের মোট তেল পরিশোধনের ৬০ শতাংশের বেশি নিয়ন্ত্রণ করে।