প্লুটোতে ‘ভাসমান’ পাহাড়

প্লুটোর আকাশে উড়ছে জমাট নাইট্রোজেন গ্যাসের ভাসমান মেঘ, যা অনেকটা পাহাড়ের মতো। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মহাকাশযান নিউ হরাইজনের তোলা ছবিতে এমন মেঘ দেখা গেছে। আর প্লুটোর নাইট্রোজেন গ্যাসের পাহাড়ে পানিও থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন গবেষকরা।
নাসার তথ্য অনুযায়ী, প্লুটোর প্রতিটি নাইট্রোজেন গ্যাসের পাহাড় কয়েক কিলোমিটারজুড়ে ছড়ানো। এই পাহাড়গুলো অনানুষ্ঠানিকভাবে বলা হচ্ছে স্পুটনিক প্লানাম। এই নামের অর্থ হলো প্লুটোর হৃদয়। নাসার মতে, প্লুটোর ভৌগোলিক অবস্থা বেশ বিচিত্র।
গবেষকরা বলেন, নাইট্রোজেন গ্যাসের চেয়ে পানির বরফের ঘনত্ব কম। পৃথিবীর মেরুতে যেভাবে পানিতে বরফ ভাসে। তেমনটি এমন গ্যাসের মধ্যে বিশাল বরফখণ্ড ভাসার কথা।
গবেষকদের মতে, প্লুটোতে ভাসমান নাইট্রোজেনের বরফখণ্ড ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। তবে নাসার ছবি অনুযায়ী, উত্তরাঞ্চলে বরফখণ্ড বেশ বড়। এসব বরফখণ্ড ৩৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।
জানা গেছে, নিউ হরাইজনে সর্বাধুনিক ছবি তোলার ব্যবস্থা মাল্টিস্পেকট্রাল ভিজিবল ইমেজিং যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। এর প্রতিটি পিক্সেল ৩২০ মিটার বোঝায়। তাই যে ছবি নিয়ে এত আলোচনা তা প্লুটোর ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৩৪০ কিলোমিটার চওড়া অংশ বোঝায়। আর গত ১৪ জুলাই নিউ হরাই মহাকাশযান প্লুটোর কাছে সর্বনিম্ন প্রায় ১৬ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব থেকে ছবি তোলে।