অস্তিত্ব সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র : জো বাইডেন

যুক্তরাষ্ট্রে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী চরম আক্রমণের শিকার হচ্ছে এবং দেশ অস্তিত্ব সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) শিকাগোতে অনুষ্ঠিত দেশটির ন্যাশনাল বার অ্যাসোসিয়েশনের ১০০তম বার্ষিক পুরস্কার গালায় দেওয়া বক্তব্যে বাইডেন এই মন্তব্য করেন। খবর ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের।
আফ্রো-আমেরিকান বিচারক, আইনজীবী ও আইন পেশাজীবীদের সবচেয়ে বড় সংগঠনটির অনুষ্ঠানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের ইতিহাস স্মরণ করেন এবং বর্তমান প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেন।
দুঃখপ্রকাশ করে বাইডেন বলেন, “১৯৬০ এর দশকের উত্তাল দিনগুলোর পরও আমেরিকার জনগণকে এমন গভীর অস্তিত্ব সংকটের মধ্যে যেতে হয়নি। বর্তমানে রাজনীতিবিদরা আইনি অভিবাসীদের হাতকড়া পরিয়ে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে তাড়িয়ে দিতে দেখে খুশি হন।”
বাইডেন অভিযোগ করে বলেন, “বর্তমান প্রশাসন ইতিহাস মুছে দিয়ে সমতা ও ন্যায়বিচার বিলুপ্ত করতে চায়। আইনবিরোধী পদক্ষেপে যেসব আইন সংস্থা ট্রাম্প প্রশাসনের বিরোধিতা করেছে, সেগুলোকে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এই চাপের কারণে বাধ্য হয়ে কিছু আইনি প্রতিষ্ঠান নতজানু হয়েছে, অন্যায়ের সামনে মাথা নত করেছে।”
বাইডেন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিচারকদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে এবং অনেকে নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের কথা ভাবছেন।
প্রসঙ্গত, সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেনের মানসিক ও শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে বিতর্ক চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। তিনি জানিয়েছেন, তিনি তার প্রেসিডেন্সি নিয়ে একটি স্মৃতিকথা লিখছেন এবং প্রোস্টেট ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন।
তবে বৃহস্পতিবারের বক্তব্যে বাইডেন তার পুনঃনির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত বা প্রেসিডেন্ট থাকার সময় সহকারীদের ভূমিকা নিয়ে চলমান কংগ্রেস তদন্ত নিয়ে কিছু বলেননি।
যদিও তিনি পূর্বে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, প্রতিটি ক্ষমা মুক্তির সিদ্ধান্ত তিনি মৌখিকভাবে অনুমোদন করেছিলেন এবং এসব বিষয়ে রিপাবলিকানদের ‘মিথ্যাবাদী’আখ্যা দেন।
এই বক্তব্য দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে তার সাবেক উপদেষ্টা মাইক ডনিলন ও স্টিভ রিচেত্তি মার্কিন কংগ্রেসের ওভারসাইট কমিটির সামনে সাক্ষ্য দেন।
সবশেষে বাইডেন বলেন, ‘আমাদের কঠিন সত্যের মুখোমুখি হতে হবে। এখনই সময় সঠিক ইতিহাসের পাশে দাঁড়ানোর।’