ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ক্ষমতা পর্যালোচনা করবে মার্কিন আদালত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের ক্ষমতা কতটা, তা খতিয়ে দেখবে দেশটির আপিল আদালত। এর আগে একটি নিম্ন আদালত বলেছিল, অনেক পণ্যের ওপর শুল্ক বসিয়ে ট্রাম্প তার ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করেছেন। খবর রয়টার্সের।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে ওয়াশিংটন ডিসির ফেডারেল সার্কিটের মার্কিন আপিল আদালতে এ শুনানি শুরু হয়। শুনানিতে গত এপ্রিলে বিভিন্ন দেশের ওপর বসানো ‘পারস্পরিক’ শুল্ক এবং ফেব্রুয়ারিতে চীন, কানাডা ও মেক্সিকোর বিরুদ্ধে বসানো শুল্ক কতটা আইনসম্মত, তা পর্যালোচনা করা হবে।
আদালতের সক্রিয় বিচারকদের একটি বিশেষ দল মামলার যুক্তি শুনবেন। যেখানে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টদের নিযুক্ত আটজন ও সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টদের দ্বারা নিযুক্ত তিনজন বিচারক আছেন। এই শুনানি মার্কিন আপিল আদালতে প্রেসিডেন্টের শুল্ক আরোপের ক্ষমতার পরিধি নিয়ে বড় পরীক্ষার মুখোমুখি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শুল্ককে তার বিদেশনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বানিয়েছেন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি বাণিজ্য আলোচনায় সুবিধা আদায় করতে এবং বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে ‘অন্যায় বাণিজ্যের’ অভিযোগ তুলে আগ্রাসীভাবে শুল্ক আরোপ করেছেন।

শুল্কের বিরুদ্ধে মামলা করা রাজ্য এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তি দিয়েছে যে, ট্রাম্প যে জরুরি রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার কথা বলে শুল্ক আরোপের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন, তাতে এই শুল্কগুলো বসানোর অনুমতি নেই। তারা বলছেন, মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী শুল্ক এবং অন্যান্য কর বসানোর ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে, প্রেসিডেন্টের হাতে নয়।
ট্রাম্প ‘আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইন (আইইইপিএ)’ নামে ১৯৭৭ সালের একটি আইনের অধীনে শুল্ক বসানোর সক্ষমতা দাবি করছেন। তবে এই আইনটি ঐতিহাসিকভাবে শত্রু দেশগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ বা তাদের সম্পদ জব্দ করার জন্য ব্যবহার করা হতো। ট্রাম্পই প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি এই আইনটি শুল্ক আরোপের জন্য ব্যবহার করছেন।