এইচ-১বি ভিসায় বছরে এক লাখ ডলার ফি বসাতে যাচ্ছেন ট্রাম্প

এবার থেকে কোম্পানিগুলোকে প্রতিটি এইচ-১বি কর্মী ভিসার জন্য বছরে এক লাখ ডলার ফি দিতে হবে বলে ঘোষণা করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়িত হলে ভারত ও চীনের দক্ষ কর্মীদের ওপর নির্ভরশীল মার্কিন প্রযুক্তি খাত বড় ধাক্কা খেতে পারে। খবর রয়টার্সের।
গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন নীতিতে বড়সড় কড়াকড়ি শুরু করেছে। এবার এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচিকে পুনর্গঠন করার পদক্ষেপকে সবচেয়ে আলোচিত উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক বলেন, “আমেরিকান গ্র্যাজুয়েটদের প্রশিক্ষণ দিন, বাইরের লোক এনে আমাদের চাকরি কেড়ে নেবেন না।”
তবে সমালোচকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেরা মেধাবীদের আসতে নিরুৎসাহিত করবে, যা দীর্ঘমেয়াদে উদ্ভাবন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ব্যাহত করবে।

অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, মেটা প্রভৃতি কোম্পানি বছরে হাজার হাজার এইচ-১বি ভিসার আবেদন করে থাকে। ভারতে অনুমোদিত এইচ-১বি ভিসার ৭১ শতাংশ আর চীনে ১১.৭ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের পর যুক্তরাষ্ট্রে তালিকাভুক্ত ভারতীয় কোম্পানি ইনফোসিস ও উইপ্রোর শেয়ারের দর ২ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
মার্কিন অভিবাসন কাউন্সিলের নীতি পরিচালক অ্যারন রেইকলিন-মেলনিক বলেছেন, “কংগ্রেস শুধুমাত্র আবেদন প্রক্রিয়ার খরচ তোলার মতো ফি নির্ধারণের অনুমতি দিয়েছে। এর বাইরে অতিরিক্ত ফি বসানো আইনসঙ্গত নয়।”
একইসঙ্গে ট্রাম্প “গোল্ড কার্ড” নামে নতুন একটি ভিসা চালু করেছেন, যেখানে ১০ লাখ ডলার পরিশোধে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেওয়া হবে।