এইচ-১বি ভিসার ফি নিয়ে ক্ষোভ, ট্রাম্পকে ‘পাগল’-‘মূর্খ’ সম্বোধন ভারতীয় ব্যবসায়ীর

যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চ-দক্ষ বিদেশি কর্মীদের এইচ-১বি ভিসায় ১ লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ২১ লাখ টাকা) ফি নির্ধারণের আদেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভারতীয়রা। কেননা যুক্তরাষ্ট্রে এইচ-১বি ভিসার ৭১ শতাংশই ভারতীয়।
আজ রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় রিপাবলিকান ওয়ার্ল্ডের ইউটিউব চ্যানেলে এ বিষয়ে কথা বলেছেন দেশটির ব্যবসায়ী ও কলামিস্ট সুহেল শেঠ।
সুহেল শেঠ তার বক্তব্যে ট্রাম্পকে ‘পাগল’ ও ‘মূর্খ’ বলে সম্বোধন করেছেন। তবে তিনি মনে করেন, ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তে ভারত সাময়িক অসুবিধায় পড়লেও দীর্ঘমেয়াদে এটি ভালো ফল বয়ে আনবে। কেননা ভারত সরকারের এখন উচিত হবে আইটি সেক্টরে আরও মনোনিবেশ করা। অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানই ভারতমুখী হবে বলেও মনে করেন তিনি।
সুহেল শেঠ বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আর তিন বছর চার মাস মেয়াদ আছে। তার মতো পাগল লোকের কারণে আমাদের আরও ভুগতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হচ্ছেন এই ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তিনি তার বক্তব্যে ট্রাম্পকে মুর্খ বলেও সম্বোধন করেন।
গত শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক ফি বাড়ানোর বিষয়টি ঘোষণা করতে গিয়ে বলেছিলেন, এই অর্থ প্রতিবছর পরিশোধ করতে হবে এবং তা নতুন ভিসা-প্রার্থীর পাশাপাশি নবায়নের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
তবে গতকাল শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) নতুন এক বার্তায় হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, ১ লাখ ডলারের এই ফি কেবল নতুন আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে এককালীন নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এটি বার্ষিক ফি নয়। এটি এককালীন ফি, যা কেবল নতুন ভিসার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। নবায়ন কিংবা বর্তমান ভিসাধারীদের ক্ষেত্রে নয়।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন নীতিতে বড়সড় কড়াকড়ি শুরু করেছে। এবার এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচিকে পুনর্গঠন করার পদক্ষেপকে সবচেয়ে আলোচিত উদ্যোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সমালোচকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সেরা মেধাবীদের আসতে নিরুৎসাহিত করবে, যা দীর্ঘমেয়াদে উদ্ভাবন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ব্যাহত করবে।
অ্যামাজন, মাইক্রোসফট, মেটা প্রভৃতি কোম্পানি বছরে হাজার হাজার এইচ-১বি ভিসার আবেদন করে থাকে। ভারতে অনুমোদিত এইচ-১বি ভিসার ৭১ শতাংশ আর চীনে ১১.৭ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছে।