উচ্চমাধ্যমিকে পাসের দাবিতে বিক্ষোভ করা শম্পার মরদেহ উদ্ধার
সম্প্রতি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন অনেক শিক্ষার্থী। এরপর পাসের দাবিতে বিক্ষোভও করেন তারা। সেই বিক্ষোভে থাকা এক ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মৃতের পরিবারের দাবি—পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার কারণেই তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। মৃতের নাম শম্পা হালদার (১৭)। তাঁর বাসা পশ্চিমবঙ্গের মালদহে। স্থানীয় আর এন রায় গার্লস স্কুল থেকে এবার সে পরীক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু, অকৃতকার্য হয়।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, মালদহের ওই স্কুল থেকে মোট ১৮০ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। যার মধ্যে ৮০ জন পাস করে। অকৃতকার্য হয় বাকি সবাই।
এরপরই মালদহের শিক্ষা দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করেন অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা। এই বিক্ষোভেই ছিল শম্পা। তখন তারা দাবি করছিল, ‘আমরা ফেল করতে পারি না। আমাদের পাস করাতে হবে।’
এক সময় এ বিক্ষোভ শুধু মালদহ না রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ছড়িয়ে পড়ে। ফলে পরীক্ষার খাতা রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নেয় উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়।
সেখানে বলা হয়, পরীক্ষার্থীরা ২০ জুন থেকে খাতা রিভিউয়ের জন্য আবেদন করতে পারবে। আগামী ৫ জুলাই পর্যন্ত অনলাইনে চলবে আবেদন কার্যক্রম।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিলেও শম্পাকে আর ফেরানো যায়নি। শম্পার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহে।
শম্পার বাবা কুশি হালদার বলেন, পরীক্ষায় ফেল করার জন্যই মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।
মালদহের অতিরিক্ত সুপার শাহ অমিত কুমার জানান, প্রাথমিক তদন্তের পর অনুমান করা হচ্ছে পরীক্ষায় পাস না করতে পেরেই আত্মহত্যা করেছে শম্পা। তবে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক