এবার মেলবোর্ন একাডেমির কাছে হারল বাংলাদেশ

টপ এন্ড টি-টোয়েন্টিতে এবার সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। আজ আবারও হারল জয়ের আশা জাগিয়ে। ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। তবে ইয়াসির আলি চৌধুরির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। কিন্ত বোলাররা রান বিলিয়ে দেওয়ায় প্রতিপক্ষকে আটকে রাখতে পারেনি। মেলবোর্ন স্টারস একাডেমির কাছে হেরেছে ৩ উইকেটের ব্যবধানে। হার-জিতের দোলাচলে এখন শঙ্কায় সেমিফাইনাল খেলা।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানের পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল। জবাব দিতে নেমে ৪ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মেলবোর্ন স্টারস একাডেমি।
রান তাড়ায় নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করে মেলবোর্ন স্টারস একাডেমি। তবে দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ৩৪ রানে প্রথম ব্রেুক-থ্রু এনে দেন পেসার হাসান মাহমুদ। ফেরান ওপেনার টম ফ্রেজার রজার্সকে (১১ বলে ১২ রান)।
এরপর ৮১ রানের মধ্যেই পাঁচ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু সেই মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারেনি নুরুল হাসান সোহানের দল। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের কাছে থেকে ম্যাচ কেড়ে নেন জনাথন মারলো আর ক্রিস্টিয়ান হাও। ৬৫ রানের জুটি গড়েন এই দুজন।
এই জুটিতে অবশ্য মারলোর কৃতিত্বটাই বেশি। ৩৮ বলে ৬১ রানের ম্যাজ জয়ী ইনিংসে খেলেন তিনি। যদিও জনাথন ম্যাচ শেষ করে যেতে পারেননি। তবে ১৭.৫ ওভারে যখন হাসান মাহমুদের বোল্ড হয়ে ফেরেন ততক্ষণে ম্যাচ চলে গেছে মেলবোর্নের হাতে। শেষদিকে হামিশ ম্যাকেনজিকে নিয়ে ২ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করেন হাও।
অন্যদিকে উদার হস্তে রান বিলিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে তরুণ দুই পেসার মুশফিক হাসান আর তোফায়েল আহমেদ। ৪ ওভারে মুশফিক দিয়েছেন ৩৬ আর ২ ওভারেই তোফায়েল দিয়েছেন ২৮ রান।
বাংলাদেশের হয়ে সমান দুটি করে উইকেট পেয়ছেন স্পিনার রাকিবুল হাসান আর পেসার হাসান মাহমুদ। একটি করে উইকেট গেছে মুশফিক হাসান, তোফায়েল আহমেদ ও সাইফ হাসানের ঝুলিতে।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে এদিন ভালো শুরু করতে পারেননি দুই ওপেনার জিসান আলম আর মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ১৩ বলে ১৩ রানে ফেরেন হিসান আর ২১ বলে ১৯ রানে নাঈম। চার নম্বরে নেমে আফিফ হোসেন ফেরেন শূন্য রানে।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে অধিনায়ক নুরুল হাসান আর সাইফ হাসান দলের হাল ধরলেও, রানের গতি বাড়াতে পারেননি তারা। ২৭ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন সোহান। হাফসেঞ্চুরির কাছ থেকে ফেরেন সাইফও। ৩৫ বলে ৪৫ রান করেন তিনি।
এদিনও শেষদিকে ব্যাটিংয়ে ঝড়ো ব্যাটিং করেন ইয়াসির আলি চৌধুরী। তার ১৭ বলে ২৯ রানের ইনিংসে ভর করেই দেড়শ ছাড়ানো লড়াইয়ের পুঁজি পায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল।