এক ম্যাচ পরই ছন্দপতন বাংলাদেশের

টপ অ্যান্ড টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচ পরই আবার ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগেছে বাংলাদেশ দল। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া লিগের দল পার্থ স্কর্চার্স অ্যাকাডেমির বিপক্ষে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকেন নাঈম-সাইফরা। নিয়মিত বিরতিতে হারান উইকেট। বাংলাদেয় গুটিয়ে যায় অল্প রানেই। পরে বোলাররা চেষ্টা করলেও ব্যাটারদের ব্যর্থতা ঢাকতে পারেননি। এক ম্যাচ পরই আবারও হার দেখল নুরুল হাসান সোহানের দল।
ডারউইনে আজ রোববার (১৭ আগস্ট) টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৩ রান করেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। জবাবে ১২ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে পার্থ স্কর্চার্স।
পাওয়ার প্লেতে স্কোরবোর্ডে ২৫ রান তুলতেই প্রথম তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। পুরো ইনিংসে মাত্র চারজন ব্যাটার দুই অঙ্কের রান তুলতে পেরেছেন। বাকিরা ছিলেন যাওয়া-আসার মিছিলে।
টপ অর্ডার ব্যাটাররা প্রথম দুই ম্যাচে রান পেলেও আজ ব্যর্থ হয়ে ফিরেছেন। জিসান আলম-সাইফ হাসানরা দ্রুত ফিরলেও দলের হাল ধরে ছিলেন আফিফ হোসেন। এই মিডল অর্ডার ব্যাটার এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করেছেন। তবে রান তুলেছেন ধীরগতিতে। ৪৯ বলে ৪ চারে ৪২ রানের ওয়ানডে ঘরানার ইনিংস খেলেন তিনি।
শেষদিকে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ৮ বলে ১৪ এবং রাকিবুল হাসানের ৫ বলে ১৬ রানে ভর করে মোটামুটি একটা সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
বাংলাদেশেরও বোলিংয়ের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। ১১ রানেই পার্থের প্রথম উইকেট তুলে নেন পেসার হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশ এরপর উইকেট পেতে থাকলেও পার্থ তাদের রানের রানের চাকা সচল রেখেছিল।
একপর্যায়ে ১৩ ওভারে ৮১ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশ কিছুটা আশা জাগিয়েছিল। তবে সেটিকে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে দেননি পার্থের মিডল অর্ডার ব্যাটার জোয়েল কার্টিস ও ম্যাথিউ স্পোর্স জুটি। ষষ্ঠ উইকেটে এই দুজনের ৪৫ রানের জুটিতে সহজেই জয় পায় পার্থ।
কার্টিস ৩৪ বলে ৪ চারে ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন এবং স্পোর্স ১৬ বলে ৩ চারে ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। ম্যাচসেরা হয়েছেন কার্টিস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ ‘এ’ দল : ২০ ওভারে ১২৩/৯ (জিসান ৯, নাঈম ৫, সাইফ ১. আফিফ ৪২*, অঙ্কন ৬, নুরুল ১৪, তোফায়েল ১, মৃত্যুঞ্জয় ১৪, রাকিবুল ১৬, হাসান ৪; কাউচ ৪-০-২০-১, জ্যাকসন ৪-০-৪৫-৩, আলবার্ট ৪-০-২১-২, কোরি ৪-০-১৫-১, স্পোর্স ৪-০-১৭-১)
পার্থ স্কর্চার্স : ১৮ ওভারে ১২৬/৫ (ব্যাক্সটার ১, গুডউইন ১৭, ভেল্লে ৩১, ফ্যানিং ৩, হবসন ৩, কার্টিস ৪৪*, স্পোরস ২৪*; নাঈম ৪-০-৩১-২, হাসান ৩-০১৬-১, মৃত্যুঞ্জয় ৩-০-২৯-০, রাকিবুল ৪-০-১৮-২, সাইফ ৩-০-২৩-০, তোফায়েল ১-০-৭-০)
ফলাফল : পার্থ স্কর্চার্স ৫ উইকেটে জয়ী।