রোমাঞ্চকর ম্যাচে জয় দিয়ে মৌসুম শুরু লিভারপুলের

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। ডমিনেটিং পারফরম্যান্সেই শিরোপা জিতেছিল অলরেডরা। বোর্নমাউথ ছিল পয়েন্ট টেবিলের ৯ নম্বরে। সেই পার্থক্য দেখা গেলো খেলার মাঠেও। বোর্নমাউথের প্রতিরোধ ছাপিয়ে ফুটে উঠল লিভারপুলের দাপট। রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে বোর্নমাউথও ভয় ছড়িয়েছিল স্বাগতিক গ্যালারিতে। কিন্তু সেটা স্থায়ী হয়নি। জয় দিয়েই নতুন মৌসুম শুরু করল অলরেডরা।
শনিবার (১৬ আগস্ট) ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমের উদ্বোধনী ম্যাচে বোর্নমাউথকে আতিথেয়তা দিতে নেমেছিল লিভারপুল। উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচে ৪-২ গোলের জয় তুলে নিয়েছে আর্নে স্লটের দল।
ম্যাচের শুরু থেকেই লিভারপুলকে আক্রমণের বার্তা দিচ্ছিল বোর্নমাউথ। হারার আগে হারতে চায় না তারা। প্রথম আধাঘণ্টা এভাবেই লড়াই করেছে বোর্নমাউথ৷ কিন্তু এরপর কেমন যেন একটু খোলসের আড়ালে চলে যায় সফরকারী। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে ডেডলক ভাঙ্গেন একিটিকে। বক্সের বাইরে থেকে বল নিয়ে চলে যায় বক্সে। এরপর সবাইকে ফাঁকি দিয়ে বল জড়িয়ে দেন জালে।
একিটিকের এটা ছিল প্রিমিয়ার লিগের অভিষেক ম্যাচ। সেখানেই দুর্দান্ত শুরু করলেন তিনি। প্রথম ম্যাচেই পেলেন গোল। রেকর্ডও আছে একটি, লিভারপুলের জার্সিতে ১৫তম ফুটবলার হিসেবে অভিষেক ম্যাচে গোল করলেন এই ফরোয়ার্ড।
বিরতি থেকে ফিরেও গোল পেতে সময় লাগেনি অলরেডদের। ম্যাচের ৪৯ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কোডি গাকপো। এই গোলেও অবদান আছে একিটিকের। ৩০ গজ বক্সের ঠিক মুখে পাস দেন গাকপোকে। কাছের পোস্ট থেকে নিয়ে সেকেন্ড পোস্টে চলে যান তিনি। সামনে থাকা তিন ফুটবলারে৷ মাঝখান দিয়ে বল জড়িয়ে দেন জালে।
উল্লাসে মেতে ওঠা স্বাগতিক গ্যালারিকে চুপ করিয়ে দেন বোর্নমাউথ ফরোয়ার্ড সিমিনো। ১২ মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান তিনি। ৬৪ মিনিটে ব্রুকসের ক্রস থেকে বা পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন। ৭৬ মিনিটে নিজের ও দলের জোড়া গোল করেন সিমিনো।
কিন্তু গল্পের তখনো ঢের বাকি। মাঠে নামলেন, খেললেন, জয় করলেন। চিয়েজার গল্পটা এমনই। ৮২ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন তিনি। লিভারপুলের জার্সিতে এটিই ছিল প্রথম প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ। মাঠে নেমেই নায়ক তিনি৷ ৮৮ মিনিটে বক্সের মধ্যে তার নেওয়া বুলেট শট জড়ায় জালে। আবারও প্রাণ সঞ্চার হয় স্বাগতিক গ্যালারিতে। লিভারপুল লিড নেয় ৩-২ গোলে।
যোগ করা সময়ে বোর্নমাউথের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন মোহাম্মেদ সালাহ। ৬ মিনিট যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে জাল খুঁজে নেন মিশরীয় এই ফরোয়ার্ড।