মেসি না রোনালদো, কার হাতে উঠছে সুপার ব্যালন ডি’অর?

ফুটবলে ব্যক্তিগত শ্রেষ্ঠত্বের সবচেয়ে বড় মানদণ্ড ব্যালন ডি’অর। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বিতর্ক সৃষ্টি হলেও গ্রহণযোগ্যতা শেষ হয়নি একেবারে। আরও একবার আলোচনায় এসেছে ব্যালন ডি’অর। এবার অবশ্য মূল আলোচনা সুপার ব্যালন ডি’অরকে ঘিরে। এখন পর্যন্ত এই পুরস্কার কেবল একবারই প্রদান করা হয়। রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি আলফ্রেড ডি স্টেফানো ১৯৮৯ সালে এই পুরস্কার পান।
ফ্রান্স ফুটবল আবারও দিতে চলেছে সুপার ব্যালন ডি’অর। নিজেদের অফিসিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে ব্যালন ডি’অর কর্তৃপক্ষ লিখেছে, ‘একটি ভিন্নধর্মী ব্যালন ডি’অর। ১৯৮৯ সালে, একজন খেলোয়াড় এমন একটি ট্রফি জিতেছিলেন যা আর কেউ কখনো পায়নি। সেটি সুপার ব্যালন ডি’অর। কিন্তু কে ছিলেন তিনি? যদি এটি আবার আজকের দিনে দেওয়া হতো কার প্রাপ্য হওয়া উচিত?’
৩৫ বছর পর সুপার ব্যালন ডি’অর ফেরার ভিডিওতে প্রথম প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে এবং দ্বিতীয় প্রশ্নের জন্য দর্শকের মতামত চাওয়া হয়েছে। পুরস্কারটি সম্পর্কে দর্শকরা জানে কিনা সেই প্রশ্ন করে বর্ণনা করা হয়েছে বর্ণিল ইতিহাস।
ফ্রান্স ফুটবলের মতে, এটি কেবল সেই খেলোয়াড়েরই প্রাপ্য যিনি গত ৩০ বছরে ফুটবলে অসামান্য অবদান রেখেছেন এবং একাধিকবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। এই সময়ে যা করে দেখিয়েছেন লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মেসি হাতে পারেন এর সবচেয়ে বড় দাবিদার। তিনি রেকর্ড ৮ বার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। রোনালদোও রয়েছেন দৌড়ে, তার দখলে রয়েছে ৫টি ব্যালন ডি’অর।
১৯৮৯ সালে ফ্রান্স ফুটবল সিদ্ধান্ত নেয় তারা গত তিন দশকের সেরা ব্যালন ডি’অর জয়ীকে পুরস্কৃত করবেন। পুরষ্কারটি ইতিহাসে মাত্র একবারই প্রদান করা হয়। সুপার ব্যালন ডি’অর দেখতে স্বাভাবিক ব্যালন ডি’অরের থেকে কিছুটা আলাদা।
পুরস্কারটি কার হাতে উঠতে যাচ্ছে তার জন্য একটি মাত্র শর্ত ছিল যারা একাধিকবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন, শুধুমাত্র তাদেরই মনোনীত করা হবে। সুপার ব্যালন ডি’অর বিজয়ীকে বেছে নিতে ভোট দিয়েছিলেন ফ্রান্স ফুটবলের পাঠক, ব্যালন ডি’অর জুরি ও আগের বিজয়ীরা।
শেষ পর্যন্ত পুরস্কারটি উঠেছিল ডি স্টেফানোর হাতে। ইউরোপে রিয়াল মাদ্রিদের আধিপত্যের প্রথম যুগে স্প্যানিশ এই তারকা ফুটবলার ১৯৫৭ ও ১৯৫৯ সালে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন। দ্বিতীয় হয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের কিংবদন্তি ইয়োহান ক্রুইফ এবং তৃতীয় স্থানে ছিলেন ফরাসি কিংবদন্তি মিশেল প্লাতিনি।