সন্তান পালনে পারদর্শী নই : আমির

তিনি একাধারে সফল অভিনেতা, পরিচালক, প্রযোজক ও সমাজকর্মী। কী, চিনতে পারছেন না? বলিউডে মিস্টার পারফেকশনিস্ট নামে সবাই চেনে। আশা করি, এবার আর চিনতে ভুল হবে না। তবে এত গুণ যে ব্যক্তির, তিনি নিজেই স্বীকার করলেন, সন্তান লালন-পালনে অতটা পারদর্শী তিনি নন। গত মঙ্গলবার বায়ান্ন বছরে পা দেওয়া আমির খান ফিল্মফেয়ার ম্যাগাজিনকে খোলামেলা আলাপে জানান চলচ্চিত্র, পরিবার ও তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা। এ ছাড়া পিতা হিসেবে তাঁর তিন সন্তান জুনায়েদ, ইরা ও আজাদের কাছে তিনি কেমন, সেটিও জানান অকপটে। সেই আলাপের চুম্বক অংশ প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
আমিরের সবচেয়ে ছোট সন্তান আজাদের পিতা হওয়ার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে আমির বলেন, ‘প্রথম সন্তান জুনায়েদের চেয়ে এটি অন্য রকম অভিজ্ঞতা।’ আমির বলেন, ‘প্রথম সন্তান সব সময় বেশি মনোযোগ পায়। যখন আপনার প্রথম সন্তান হবে, তখন আপনি কিছুটা স্নায়ুচাপে থাকবেন, অতিরিক্ত সাবধানী হবেন এবং ঘটনার সঙ্গে নিজেকে অনেকটা জড়িয়ে ফেলবেন। ১৯৯৩ সালে যখন জুনায়েদের জন্ম হয়, তখন আমি বছরে মাত্র ৩৬ দিন শুটিং করি। বাকি ৩২৮ দিন আমি তাকে সময় দিয়েছিলাম। সেই উত্তেজনা ও স্নায়ুর চাপ আমি ইরা ও আজাদের সময় পাইনি।’
সন্তান লালন-পালনে পারদর্শী নন স্বীকার করে আমির জানান, ছেলেমেয়েদের বড় করার কৃতিত্ব বর্তমান স্ত্রী কিরণ ও আগের স্ত্রী রিনার। তিনি বলেন, ‘আমি স্বীকার করে নিচ্ছি, মানসিকভাবে আমি তাদের পাশে সব সময় থাকতে পারি না। কিরণ সন্তান লালন-পালনে যথেষ্ট পারদর্শী। আমার আগের স্ত্রী রিনাও সন্তান পালনে বেশ পারদর্শী ছিলেন। আমি শুধু আমার প্রথম ছেলে জুনায়েদের ক্ষেত্রে মাত্র এক বছর তাকে সময় দিয়েছি।’
আমির আরো বলেন, ‘সন্তান লালন-পালনে আপনি তখনই পারদর্শী হয়ে উঠবেন, যখন সন্তান লালন-পালনের ক্ষেত্রে আপনি আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে সমান দায়িত্ব ভাগ করে নেবেন। সত্যি বলতে, আমার সেটা কখনই করা হয়নি। আর আমি এটা ভেবে শঙ্কিত যে আমি একজন আত্মকেন্দ্রিক মানুষ। আত্মকেন্দ্রিক মানুষ বলতে, আমি সব সময় আমার নিজের জগতে আমার কাজের মাঝে ডুবে থাকি। এবং আমি যা করছি, তা নিয়েই আনন্দে থাকি, নিজের ভুবনে থাকতে সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আপনি হয়তো এটাকে বানোয়াট বলতে পারেন; কিন্তু এটাই আমার জীবনের কঠিন সত্য।’
সন্তানদের বলিউড থেকে দূরে রাখবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আমির বলেন, ‘না আমি তাদের বলিউডে কাজ করতে বলব, না আমি তাদের বলিউড থেকে দূরে রাখব।’ আমির জানান, তাঁর বড় ছেলে থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত এবং তাঁর ছোট মেয়ে সহকারী পরিচালক হিসেবে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থায় কাজ করছে।