মতুয়া সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত ১৯ ঘর মেরামত সেনাবাহিনীর

যশোরের অভয়নগর উপজেলার ডহর মশিহাটি গ্রামে দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মতুয়া সম্প্রদায়ের ১৯টি ঘর মেরামত করে দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির মালিকদের ঘরের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রও কিনে দেওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে নগদ অর্থও।
আজ মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের কমান্ডিং অফিসার ও যশোর ক্যান্টনমেন্টের জিওসি মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে মেরামত করা ঘর ও নগদ অর্থ ক্ষতিগ্রস্তদের বুঝিয়ে দেন।
স্থানীয় ডহর মশিহাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকীসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা।
গত ২২ মে ডহর মশিহাটি গ্রামের ঘের ব্যবসায়ী পিল্টু বিশ্বাসের বাড়িতে অভয়নগর পৌর কৃষক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একইদিন রাতে ওই গ্রামের মতুয়া সম্প্রদায়ের ১৪টি বাড়ির ১৯টি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় ও লুটপাট করে তারা। আতঙ্কে এসব বাড়ির লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা দেয় এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।
আজ বিকেলে ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম বলেন, ‘সেনাপ্রধানের নির্দেশে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়েছি। সিভিল প্রশাসনও অনেক কাজ করেছে। তাদের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর পুনর্নির্মাণ করে দিয়েছি। যার যা ক্ষতি হয়েছিল, তা পূরণ করে দেওয়া হয়েছে।’ এরপরও যদি কিছু প্রয়োজন হয়, তা-ও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে দেওয়া হবে বলে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্বাস দেন।
এলাকাবাসীর মধ্যে যে আতঙ্ক কাজ করছে, তা নিরসনে সেনা টহল অব্যাহত থাকবে বলেও জানান জিওসি মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম।
ক্ষতিগ্রস্ত ঘরের মালিকরা অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, সবার সহযোগিতায় তাদের মধ্য থেকে আতঙ্ক দূর হয়ে গেছে। দুর্বৃত্তদের হামলায় তাদের যেরকম ক্ষতি হয়েছিল, তার চেয়েও বেশি ফেরত পেয়েছেন বলে তারা জানান।