সীমান্ত অতিক্রমকালে ৩০ ‘জঙ্গি’কে হত্যার দাবি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর

আফগানিস্তান থেকে সীমান্ত অতিক্রম করার সময় ৩০ ‘জঙ্গি’কে হত্যা করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। কয়েকদিন আগে একই অঞ্চলে আত্মঘাতী হামলায় ১৬ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ার পর এই অভিযান চালানো হলো। খবর আল-জাজিরার।
শুক্রবার (৪ জুলাই) পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত তিন দিনে নিহত এই ‘জঙ্গি’রা পাকিস্তান তালেবান বা তাদের সহযোগী সংগঠনের সদস্য। সেনাবাহিনী এই অভিযানকে ‘একটি সম্ভাব্য বিপর্যয়’ ঠেকানোর জন্য প্রশংসা করেছে। পাকিস্তান তালেবান (আফগান তালেবান থেকে আলাদা একটি দল) গত সপ্তাহে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছিল। নিহত ‘জঙ্গি’দের বিরুদ্ধে অভিযানও একই জেলায় হয়েছে।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে অভিযানের বিস্তারিত না থাকলেও তারা নিশ্চিত করেছে, ‘প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক’ জব্দ করা হয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ‘অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করার’ জন্য নিরাপত্তা বাহিনীর প্রশংসা করে বলেছেন, ‘আমরা দেশ থেকে সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
প্রধানমন্ত্রী ও সেনাবাহিনী উভয়ই এই জঙ্গিদের মদদ দেওয়ার জন্য ভারতকে দায়ী করেছে। যদিও ভারত এই অভিযোগ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে ইসলামাবাদ বারবার বলেছে, তাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানে সহিংসতা উসকে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, তবে নয়াদিল্লি তা সবসময় অস্বীকার করে আসছে।
পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই ধরনের অভিযোগ বেড়েছে, যার ফলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। মে মাসে তাদের মধ্যে চার দিনের সংঘাতে উভয় পক্ষের ৭০ জন নিহত হয়।
গত ২২ এপ্রিল বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চলে ২৬ জনকে হত্যাকারী বন্দুকধারীদের সমর্থন করার জন্য ভারত পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করার পর এই লড়াই শুরু হয়। ইসলামাবাদ এই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।

২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান আবার ক্ষমতা দখলের পর থেকে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় সহিংসতা বেড়েছে। গত বছর এই সহিংসতা এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নেয়। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সরকার জুন মাসে প্রতিরক্ষা ব্যয় ২০ শতাংশ বাড়িয়েছে, যা দেশের মোট বাজেটের ১ শতাংশ।