বনশ্রীতে গৃহকর্মী ‘হত্যার’ ঘটনায় গৃহকর্ত্রীও গ্রেপ্তার

রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় গৃহকর্মী লাইলি বেগম (২৫) ‘হত্যার’ ঘটনায় ওই বাসার গৃহকর্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিজ বাসা থেকে বাড়ির মালিক মাঈনুদ্দীনের স্ত্রী শাহনাজ বেগমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
খিলগাঁও থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোস্তাফিজুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় গতকাল রাতে লাইলি বেগমের স্বামীর বড় ভাই (ভাসুর) শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন।
গতকাল শুক্রবার সকালে বনশ্রীর ‘জি’ ব্লকের একটি বাসা থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় লাইলির লাশ উদ্ধার করা হয়। ১১ মাস ধরে গৃহকর্তা মঈনউদ্দিনের বাসায় কাজ করছেন লাইলি। সেখানে তাঁর চার মাসের বেতন বকেয়া ছিল। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মঈনউদ্দিনের সঙ্গে ঝগড়া হচ্ছিল তাঁর। শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে লাইলি পাওনা টাকা নিতে ওই বাসায় যান। এরপর বিবস্ত্র অবস্থায় তাঁর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া যায়।
লাইলি বেগমের বাড়ি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ি থানার কাশিপুর ইউনিয়নে। তিনি খিলগাঁওয়ের হিন্দুপাড়া এলাকায় থাকতেন। লাইলির দুই সন্তান আছে। এদের একজনের নাম আতিকুর (৩), অন্যজনের নাম মরিয়ম (৫)।
লাইলির স্বামী নজরুল ইসলাম কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আটক হন। বর্তমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লির একটি কারাগারে বন্দি আছেন বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর বাসার গৃহকর্তা মঈনউদ্দিন ও বাড়ির দারোয়ানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
লাইলির মৃত্যুর পর স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষুব্ধ হয়ে মঈনউদ্দিনের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং একই সঙ্গে স্লোগান দিয়ে মঈনউদ্দিনের বিচার দাবি করে। তাঁর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পুলিশ।