নিজ বাড়িতেই লুকিয়ে ছিলেন গৃহকর্ত্রী শাহনাজ!

গৃহকর্মী লাইলি বেগমের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার রাজধানী বনশ্রীর ওই বাড়ির সামনে দিনভর বিক্ষোভ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা হয়। ওই ছয়তলা বাড়ি গতকাল সন্ধ্যায় খালি হয়ে যায়। কেবল একজন ওই বাড়িতে প্রায় ২৪ ঘণ্টা লুকিয়ে ছিলেন!
তিনি গৃহকর্ত্রী শাহনাজ বেগম। তাঁরই স্বামীর নাম মঈনউদ্দিন। তাঁদের বাসাতেই মারা যান গৃহকর্মী লাইলি বেগম। শাহনাজকে আজ শনিবার ওই বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুপুর ১২টার দিকে শাহনাজকে ওই বাড়ি থেকে বের করে আনা হয়।
গতকাল রাতেই লাইলির ভাসুর শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। বাড়ির মালিক মঈনউদ্দিন ও দারোয়ান তোফাজ্জল হোসেন টিটুকে গতকালই বিক্ষোভের সময় আটক করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মঈনউদ্দিনের পরিবারের বিরুদ্ধে গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ আগেও উঠেছে। গতকাল সংঘর্ষের সময় ছয়তলা ভবনের সব ভাড়াটিয়া বের হয়ে চলে যান। পুরো বাড়িই শূন্য হয়ে পড়ে। মামলা হওয়ার পর পুলিশ ওই বাড়িতেই খুঁজে পায় শাহনাজকে।
খিলগাঁও থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোস্তাফিজুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে জানান, এ ঘটনায় গতকাল রাতে লাইলি বেগমের স্বামীর বড় ভাই (ভাসুর) শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। আর আজ নিজ বাসা থেকে বাড়ির মালিক মঈনউদ্দিনের স্ত্রী শাহনাজ বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম সাংবাদিকের জানিয়েছেন, একটি মামলা করা হয়েছে। ওই মামলার তদন্ত কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। মামলায় আসামি হিসেবে তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা আছে একজন।
ওসি মাইনুল বলেন, ‘সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশও বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। বিক্ষোভের সময় পুলিশের কয়েকজন সদস্যও আহত হয়েছেন। এই ঘটনার তদন্ত করে আপনাদের বিস্তারিত জানানো হবে।’