বনশ্রীতে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ চলছেই, গৃহকর্তা আটক

গৃহকর্মীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় সংঘর্ষ এখনো চলছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পরও বিক্ষোভ করছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
এদিকে, বাসার গৃহকর্তা মঈনউদ্দিনকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষুব্ধ হয়ে মঈনউদ্দিনের বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং একই সঙ্গে স্লোগান দিয়ে মঈনউদ্দিনের বিচার দাবি করে।
আজ শুক্রবার সকালের দিকে লাইলি বেগম (২৫) নামে এক গৃহকর্মী মারা যান। বাসার গৃহকর্তা মঈনউদ্দিন দাবি করেন, কাজ করতে এসে দরজা বন্ধ করে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন লাইলি। লাইলি খিলগাঁও হিন্দুপাড়া এলাকায় থাকতেন।
লাইলির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে মঈনউদ্দিনের বাসার সামনে বিক্ষোভ করে স্থানীয় বাসিন্দারা। বিকেলেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।
ওই সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া সন্ধ্যার পরও চলছে। স্থানীয় বাসিন্দা বর্ষা জানান, লাইলিকে হত্যা করে উলঙ্গ অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। বেতন নিয়ে লাইলি ও গৃহকর্তা মঈনউদ্দিনের মধ্যে ঝামেলা চলছিল। তিনি জানান, এর আগে আরো দুজন গৃহকর্মী এ বাসায় মারা যায়। তবে তা প্রকাশ পায়নি। তিনি আরো জানান, প্রায় ছয় মাস আগে এক গর্ভবতী গৃহকর্মীকে মারধর করেন মঈনউদ্দিন।
জানা যায়, লাইলির দুই সন্তান আছে। এদের একজনের নাম আতিকুর (৩) অন্যজনের নাম মরিয়ম (৫)। লাইলির স্বামী নজরুল ইসলাম কারাগারে আছেন বলে জানা যায়।
মঈনউদ্দিনের বাসার সামনে সন্ধ্যার পরেও বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে তাঁর বিচার দাবি করেন। এ সময় মঈনউদ্দিনের বাসা লক্ষ্য করে ইটপাটকেলও নিক্ষেপ করা হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে খিলগাঁও জোনের সহকারী কমিশনার জুঁই ফারজানা জানান, এখনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। ওই প্রতিবেদন এলে বোঝা যাবে তা হত্যা না আত্মহত্যা।