ঘড়ি ফেরত পেতেই জরিমানা সাড়ে ৪ লাখ টাকা!

জরিমানা ও অতিরিক্ত চার্জ পরিশোধের শর্তে দুবাই প্রবাসী মাহেশ মালকানি অবশেষে তার জব্দ হওয়া রোলেক্স ঘড়ি ফেরত পাচ্ছেন।
গত বছর মার্চে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস কর্মকর্তারা তার রোলেক্স সাবমেরিনার ঘড়ি (মূল্য প্রায় ৫৬ হাজার দিরহাম বা ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা) জব্দ করে। অভিযোগ ছিল, তিনি গ্রিন চ্যানেলে ঘড়িটি ঘোষণা করতে ব্যর্থ হন। খবর খালিজ টাইমসের।
পরে কাস্টমস বিভাগ জানায়, জরিমানা (সাড়ে ৭ হাজার দিরহাম বা ২ লাখ ৪৮ হাজার টাকা) ও অতিরিক্ত শাস্তিমূলক ফি (৬ হাজার ২৫০ দিরহাম বা ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা) পরিশোধ করলে ঘড়িটি পুনরায় রপ্তানি করা যাবে। তবে তারা এটিকে “বাণিজ্যিক পরিমাণ” বলে দাবি করে, যা নিয়ে আদালতে যায় মালকানি।
দিল্লি হাইকোর্ট রায়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে, “একটি রোলেক্স ঘড়িকে কখনও বাণিজ্যিক পরিমাণ হিসেবে গণ্য করা যাবে না। এটি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্যই ধরা হবে।”
তবে জরিমানা ও শাস্তিমূলক ফি বহাল থাকবে। মালকানিকে জব্দকালীন গুদাম চার্জও পরিশোধ করতে হবে। ঘড়ি ফেরত নেওয়ার জন্য নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত।

ভারতের নিয়ম অনুযায়ী, ২ হাজার দিরহামের (৬৬ হাজার টাকা) বেশি মূল্যের বিলাসপণ্য দেশে প্রবেশের সময় ঘোষণা করতে হয়। না করলে কাস্টমস জরিমানা আরোপ করতে পারে—যদি তা ব্যক্তিগত জিনিসপত্র হয়।
ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. সুজয় কান্তাওয়ালা বলেন, “এই রায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে বাস্তবসম্মত অবস্থান নিতে বাধ্য করবে। আদালত দেখিয়ে দিয়েছে, একটি ব্যক্তিগত ঘড়িকে অযৌক্তিকভাবে বাণিজ্যিক হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না।”
তিনি আরও বলেন, এই রায় ভ্রমণকারীদের অধিকার সুরক্ষায় একটি দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্ত, যদিও জরিমানা থেকে রেহাই মিলবে না।