কাতারে হামলা হলে জবাব দেবে যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলার পরিপ্রেক্ষিতে কাতারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এই আদেশে বলা হয়েছে, কাতার যদি আবারও আক্রমণের শিকার হয় তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশোধমূলক সামরিক পদক্ষেপসহ কাতারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দেবে। খবর আলজাজিরার।
ইসরায়েলি হামলার কারণে আঞ্চলিক ও বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ সৃষ্টি হওয়ার পরই ট্রাম্প এই পদক্ষেপ নিলেন।
গত মাসে ইসরায়েল কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থানরত হামাস নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। ইসরায়েলের দাবি ছিল, এই নেতারা কাতারের পৃষ্ঠপোষকতায় গাজায় মার্কিন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন।
এই হামলায় ফিলিস্তিনি দলের বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হন, তবে মূল নেতারা নিহত হননি। একই সঙ্গে, একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তাও নিহত হন।
কাতারের নাগরিক হত্যার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ক্ষমা চেয়েছেন।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানি সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর যৌথ ফোনে এই ক্ষমা প্রার্থনা গ্রহণ করেছেন।
ট্রাম্প তার নতুন নির্বাহী আদেশে কাতারকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি অবিচল মিত্র’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা, অভিন্ন স্বার্থ ও আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দ্বারা আবদ্ধ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সংঘাতের মধ্যস্থতায় কাতার ওয়াশিংটনকে সমর্থন করেছে। তাই, ‘বিদেশি আগ্রাসনের দ্বারা কাতার রাষ্ট্রের প্রতি অব্যাহত হুমকির আলোকে বহিরাগত আক্রমণের বিরুদ্ধে কাতার রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা নিশ্চিত করা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি।’