ইউক্রেনের জন্য যেকোনো শান্তি চুক্তি অবশ্যই ‘ন্যায্য’ হতে হবে : স্টারমার

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, ইউক্রেনের জন্য যেকোনো শান্তি চুক্তি অবশ্যই ‘ন্যায্য ও ন্যায্য’ হতে হবে। ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠকের পর স্টারমার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ফোন করে পুতিনের ভূখণ্ড দাবির বিষয়ে অবহিত করেন। খবর বিবিসির।
যদি জেলেনস্কি পুতিনের কথায় রাজি হয়ে রাশিয়াকে কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দেন, তাহলে ইউক্রেনে বড় ধরনের রাজনৈতিক ঝামেলা শুরু হতে পারে। কারণ, তিনি সবসময় এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এসেছেন।
বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, ইউক্রেনের বেশিরভাগ মানুষ এমন কোনো চুক্তির পক্ষে নয়, যেখানে রাশিয়াকে জোর করে দখল করতে না পারা ভূমিগুলো ছেড়ে দেওয়া হবে। তাই, পুতিনকে তার চাওয়া ভূমি দিয়ে দিলে কিয়েভে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে ও এর ফলে জেলেনস্কির ক্ষমতাও ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
অন্যদিকে, ট্রাম্পের সামনে পুতিনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে ট্রাম্প আবারও ইউক্রেনের সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারেন, যা যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের অবস্থানকে দুর্বল করে দেবে।
অনেকে আশঙ্কা করছেন, আজকের বৈঠকটি আরেকটি ‘মিউনিখ বিশ্বাসঘাতকতা’তে পরিণত হতে পারে। ১৯৩৮ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থামানোর জন্য এক চুক্তিতে হিটলারকে চেকোস্লোভাকিয়ার সুডেটেনল্যান্ড দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেই পদক্ষেপ কাজ করেনি। এর ফলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ঠেকানো যায়নি।
ইউক্রেনীয়দের অনেকেই মনে করেন, পুতিনও এটি জানেন ও একটি দুর্বল ইউক্রেনকে জয় করা তার জন্য সহজ হবে। তাই, এই বৈঠক জেলেনস্কির সামনে কিছু কঠিন বিকল্প রেখে গেছে।