গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসছে হামাস

হামাস জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে কথা বলছে। ফিলিস্তিনের অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে এই আলোচনা চলছে। এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে, গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য হয়তো নতুন আলোচনা শুরু হতে পারে। খবর এএফপির।
এই খবর এমন সময় এলো, যখন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার (৭ জুলাই) ওয়াশিংটন যাচ্ছেন। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও গাজা যুদ্ধ শেষ করার জন্য চাপ দিচ্ছেন।
গাজার এই সংঘাত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর শুরু হয়েছিল। এরপর ইসরায়েল হামাসকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে ও সব বন্দিকে ফিরিয়ে আনতে বড় ধরনের হামলা শুরু করে।
এর আগে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দুবার যুদ্ধ সাময়িকভাবে থেমেছিল। তখন ইসরায়েলি বন্দিদের ফিরিয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল।
হামাস শুক্রবার (৪ জুলাই) ভোরে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে পাওয়া প্রস্তাব নিয়ে আমাদের আন্দোলন ফিলিস্তিনি বিভিন্ন দল ও নেতাদের সঙ্গে কথা বলছে।’
এর কয়েক ঘণ্টা আগে, নেতানিয়াহু গাজায় আটকে পড়া সব বন্দিকে ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বন্দিদের স্বজনদের কাছ থেকে তাদের ভাগ্য নিয়ে তিনি ব্যাপক চাপের মুখে আছেন।

নেতানিয়াহু নির ওজ কিব্বুৎজের বাসিন্দাদের উদ্দেশে বলেন, আমি সবার আগে আমাদের সব অপহৃতকে ফিরিয়ে আনার জন্য গভীরভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ২০২৩ সালের হামাসের হামলায় এই সম্প্রদায় থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষকে বন্দি করা হয়েছিল।
ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বলেছেন, তিনি গাজার মানুষের জন্য নিরাপত্তা চান। ট্রাম্প বলেন, ‘আমি গাজার মানুষের জন্য নিরাপত্তা দেখতে চাই। তারা নরকের মধ্য দিয়ে গেছে।’