রাশিয়ার হেলিকপ্টার ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের

ক্রিমিয়ার কিরোভস্ক বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালিয়ে রাশিয়ার একাধিক হেলিকপ্টার ও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা (এসবিইউ) এক বিবৃতিতে জানায়, হামলায় রাশিয়ার এমআই-৮, এমআই-২৬, এমআই-২৮ হেলিকপ্টার এবং প্যান্টসার-এস১ ক্ষেপণাস্ত্র-সিস্টেম ধ্বংস হয়েছে। খবর আল জাজিরার।
এসবিইউ জানিয়েছে, বিমানঘাঁটিতে রাশিয়ার বিমান ইউনিট, বিমান প্রতিরক্ষা, গোলাবারুদ গুদাম ও ড্রোনের ঘাঁটি লক্ষ্য করা হয়েছিল। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “রাতভর বিমানঘাঁটিতে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ চলেছে।”
এদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, শুক্রবার (২৭ জুন) রাত থেকে শনিবার (২৮ জুন) সকাল পর্যন্ত ক্রিমিয়ার আকাশে ৪০টির বেশি ইউক্রেনীয় ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
ওডেসায় রুশ হামলা
অন্যদিকে, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ড্রোন হামলায় ওডেসা শহরে দুইজন নিহত এবং ১৪ জন আহত হয়েছেন। ওডেসার গভর্নর ওলেগ কিপার বলেন, “একটি আবাসিক ভবনে ড্রোন হামলায় দুইজন নিহত হয়েছেন এবং আহতদের মধ্যে তিনজন শিশু।”
খেরসন অঞ্চলের গভর্নর ওলেক্সান্দ্র প্রকুদিন জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ার হামলায় একজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, “রুশ বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও আবাসিক এলাকায় হামলা চালিয়েছে।”
ক্ষেত্রদখল ও আলোচনা
এদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডোনেৎস্ক অঞ্চলের চেরভোনা জিরকা বসতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ বাহিনী।
সম্প্রতি তুরস্কে রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় কোনো সমাধান না হওয়ায় যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ ফলপ্রসূ হয়নি। রাশিয়া দখলকৃত এলাকা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, আর ইউক্রেনও ভূখণ্ড হারানোর শর্তে কোনো চুক্তি মেনে নিচ্ছে না।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মিনস্কে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, “দুই দেশের অবস্থান সম্পূর্ণ বিপরীত। তাই আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে যাতে সমাধানের পথ খোঁজা যায়।”
উভয় দেশ কয়েক দফা বন্দি বিনিময় করেছে এবং আলোচনার ধারাবাহিকতা রাখতে রাজি হয়েছে।