আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হঠাৎ পেটে ব্যথা, সন্তান প্রসব

গত শনিবারের ঘটনা। পাকস্থলীতে ব্যথার সমস্যা নিয়ে বিমানবাহী রণতরী ডি আইজেনহাওয়ারের চিকিৎসা বিভাগে গেলেন দায়িত্বরত এক নারী নাবিক।
কিছুক্ষণ পরই রণতরীর চিকিৎসক আবিষ্কার করলেন, কেন ওই নারী নাবিকের পেট ব্যথা করছে। কারণ, তিনি অন্তঃসত্ত্বা। এর কিছুক্ষণ পরেই সাত পাউন্ড ওজনের একটি সন্তান জন্ম দেন ওই নাবিক।
মজার ব্যাপার হলো, জন্মস্থান হিসেবে ওই শিশুর বার্থ সার্টিফিকেটে লেখা রয়েছে পারস্য উপসাগরের কোনো একটি অংশে।
ওয়াশিংটন পোস্টকে পাঠানো এক ই-মেইল বার্তায় বিমানবাহী রণতরীর মুখপাত্র কমোডর বিল আরবান জানিয়েছেন, মা ও শিশু দুজনেই সুস্থ ও ভালো আছে।
ওই নারী নাবিকের গর্ভাবস্থা সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না মার্কিন নৌবাহিনীর। বিল আরবার আরো জানিয়েছেন, গর্ভধারণ করেছেন কি না, সে সম্পর্কে কিছুই বুঝতে পারেননি বলে দাবি করেছেন ওই নাবিক।
এদিকে, হঠাৎ করে এই শিশুর জন্ম রীতিমতো বিস্মিত করেছে জাহাজটিতে কর্মরত ব্যক্তিদের।
তবে মার্কিন নৌবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী, একজন নারীসেনা গর্ভাবস্থা নিশ্চিত হওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাতে বাধ্য। তবে এ ক্ষেত্রে তা ঘটেনি।
কারণ, ওই নারী নিজেই জানতেন না যে তিনি গর্ভধারণ করেছেন। এখন দ্রুত ওই নারীকে বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিল আরবার। তবে ওই ই-মেইল বার্তায় তিনি আরো জানিয়েছেন, এ মুহূর্তে নৌবাহিনী পরিবারে জন্ম নেওয়া ছোট্ট সদস্যটির স্বাস্থ্যের বিষয়টিই সবচেয়ে অগ্রাধিকার হিসেবে দেখছেন তাঁরা।
ওই নারী কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করেনি মার্কিন নৌবাহিনী। স্রেফ জানানো হয়েছে, তিনি ওই বিমানবাহী রণতরীতে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ওই রণতরীটি পারস্য উপসারগরে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে দায়িত্ব পালন করছে। গত ১ জুন পাঁচ হাজারের বেশি সদস্য নিয়ে ভার্জিনিয়া বন্দর ত্যাগ করে রণতরীটি। পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন বিমান বহন করা এই রণতরীটিতে যে সহজেই সন্তান প্রসবের ব্যবস্থা করা গেছে, সেটাই এক আশ্চর্যের বিষয়।