‘আমিরের মন্তব্যে অশান্তি ছড়াতে পারে’

“দেশজুড়ে কিছু ঘটনায় আমি ‘আতঙ্কিত’ এবং আমার স্ত্রী দেশ ছেড়ে যাওয়ার ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন”—সম্প্রতি বলিউডের প্রভাবশালী অভিনেতা আমির খানের এমন মন্তব্যে ভারতজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রভাবশালী ব্যক্তি আমির খানের পক্ষে মত দিয়েছেন। আবার আমির খানের সমালোচনা করেছেন কেউ কেউ।
ভারতে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির মুখপাত্র নালিন কোহলি বলেছেন, ‘ব্যতিক্রমকে আইন হিসেবে মেনে নেওয়া যায় না। ভীতির সঞ্চালক হওয়া যাবে না।’
ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, “সরকার ও মোদিকে নিয়ে প্রশ্নকারীকে দেশপ্রেমহীন, জাতীয়তাবিরোধী অথবা ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ এমন তকমা না দিয়ে, জনগণের কাছে গিয়ে সরকারের উচিত জানা, কোন বিষয় তাঁদের সমস্যা করছে। এটিই ভারতে কোনো সমস্যা সমাধানের পন্থা—তর্জন-গর্জন, ভয় দেখানো বা ক্ষমতার অপব্যবহার সমস্যা সমাধানের কোনো পথ নয়।”
ভারতের পার্লামেন্টের সদস্য ও অভিনেতা পরেশ রাওয়াল বলেন, ‘আমির এর আগে অসহিষ্ণুতা বিষয়টির তোলেননি। তাঁর মন্তব্য থেকে অশান্তি ছড়াতে পারে।’
ভারতে বসবাসরত বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন বলেছেন, ‘বিশ্বের প্রায় সব স্থানেই কমবেশি অসহিষ্ণুতা আছে। সেলিব্রেটি চলচ্চিত্র তারকা আমির খান ও তাঁর পরিবারের জন্য ভারত হবে সবচেয়ে নিরাপদ স্থান।’
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির নেতা (এএপি) বলেছেন, ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করা—এখনই বন্ধ করতে হবে বিজেপিকে। যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে মানুষের মধ্যে ধীরে ধীরে নিরাপত্তার বিষয়টি ফিরিয়ে আনায় সরকারের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময় এখনই।’
ভারতের মন্ত্রিসভার ইউনিয়নমন্ত্রী মুখতার আব্বাস নাগভি বলেন, ‘আমির খান ভারতে নিরাপদ। তাঁর মন্তব্য ভারতে তাঁর ভক্তদের জন্য অবমাননাকর।’
কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেন, ‘নির্দিষ্ট সামজ বা দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে আপনি আমির খান বা শাহরুখ খানের মতো ব্যক্তিত্বকে এড়িয়ে যেতে পারেন না। তাঁরা এমন ব্যক্তিত্ব, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরেই সচেতনতা ও দেশপ্রেম প্রদর্শন করে আসছেন।’
এএপি নেতা আশুতোষ বলেন, ‘আমির খান হলেন জাতীয় সম্পদ এবং আমি তাঁকে নিয়ে গর্ববোধ করি। তিনি ও তাঁর কর্ম বিশ্বমানের। তিনি কোনো কথা বলে থাকলে অবশ্যই সেটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ।’