ভারতের সব বোয়িং বিমানের ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ পরীক্ষার নির্দেশ

ভারতের সব এয়ারলাইন্সকে তাদের বোয়িং বিমানে থাকা ফুয়েল কন্ট্রোল সুইচ পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ। গত জুনে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার দুর্ঘটনায় পড়ে এবং এতে ২৬০ জন নিহত হন।
প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিমানের ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে বোঝা যাচ্ছে, ফুয়েল সুইচ "রান" থেকে "কাট-অফ" অবস্থায় চলে গিয়েছিল, যা বিমানের থ্রাস্ট হঠাৎ বন্ধ করে দেয়। খবর বিবিসির।
ডিজিসিএ বলছে, ২১ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্ত বোয়িং বিমানেই এই সুইচ পরীক্ষা করতে হবে এবং রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
এ নির্দেশনা মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)-এর ২০১৮ সালের একটি পরামর্শের সঙ্গে মিল রয়েছে, যেখানে বলা হয়েছিল ফুয়েল কাট-অফ সুইচ যেন দুর্ঘটনাবশত না সরে যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
ভারতের এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্রাঞ্চ (এএআইবি) বলছে, যেহেতু সেই নির্দেশ বাধ্যতামূলক ছিল না, তাই এয়ার ইন্ডিয়া সেই সময় এই পরীক্ষা করেনি।
এদিকে মার্কিন এফএএ বলেছে, তারা এখনো মনে করে না যে এই সুইচগুলো বিমানের নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে।
তবে ভারতের পাশাপাশি দক্ষিণ কোরিয়াও বোয়িং বিমান পরিচালনাকারী এয়ারলাইনগুলিকে একই ধরনের নির্দেশনা দিতে যাচ্ছে, এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিকে, ইন্ডিয়ান কমার্শিয়াল পাইলটস অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ফ্লাইট ১৭১-এর পাইলটরা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে প্রশিক্ষণ অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের দোষারোপ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এর উদ্দেশ্য কোনো ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা নয়, বরং দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা।
এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ছিল গত এক দশকের মধ্যে বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা।