প্যারিসের হামলার পর ভারতে কড়া সতর্কতা

ফ্রান্সের প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতজুড়ে কড়া নিরাপত্তা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভারতের প্রতিটি রাজ্যকে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য বলা হয়েছে। আজ শনিবার সকালেই হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং বাণিজ্যনগরী মুম্বাইতে।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আশঙ্কা, ২৬/১১ ধাঁচে ফের ভারতের মাটিতে হামলা চালাতে পারে জঙ্গিরা। তাই শনিবার সকাল থেকেই ভারতের প্রতিটি রাজ্যের বড় বড় শহরে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার কাজ শুরু হয়েছে।
ভারতের বিভিন্ন শহরের পাঁচতারকা হোটেল, নামিদামি রেস্তোরাঁ, ঐতিহ্যবাহী স্থান, পর্যটনস্থল, অডিটোরিয়ামসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করার জন্য সুপারিশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তা ছাড়া দেশের সর্বত্র সরকারি অনুষ্ঠানে নিরাপত্তাব্যাবস্থা জোরদার করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া আজ থেকে কলকাতায় শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসব। এর উদ্বোধনে উপস্থিত থাকেন একঝাঁক তারকা। প্রতিদিন এ উৎসবে দেশ-বিদেশের গুণী মানুষদের আনাগোনা ঘটবে। এ জন্য এ উৎসবেও নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করার সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার চলচ্চিত্র উৎসবে নজিরবিহীন নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি কলকাতার হাওড়া ব্রিজ, হাওড়া স্টেশন, শিয়ালদহ স্টেশন, চিড়িয়াখানা, জাদুঘর, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালসহ বিশেষ স্থানগুলোতে জোরদার করেছে নিরাপত্তাব্যবস্থা।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই সাবধানবাণীর মধ্যেই আজ দুপুরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য প্রশাসনিক ভবন নবান্নে বোমাতঙ্ক ছড়ায়। নবান্নের সামনে সুতলি পাকানো একটি বস্তুকে ঘিরে এই আতঙ্ক তীব্রভাবে ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এবং বোমা স্কোয়াডের কর্মীরা এসে সেটি উদ্ধার করে। তবে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।
প্যারিসে জঙ্গি হামলার কড়া নিন্দা করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘প্যারিসে হামলার কড়া নিন্দা করছি। ভারত ফ্রান্সের পাশে রয়েছে। ফরাসি নাগরিকদের সমবেদনা জানাই।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘প্যারিসে যা হয়েছে তা ভয়ংকর ঘটনা। ফ্রান্সের এই বিপদে আমরা সবাই ফ্রান্সের পাশে আছি।’
প্যারিসে জঙ্গি হামলার ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বলেন, এই ধরনের অমানবিক ঘটনা মানুষের মূল্যবোধে আঘাত করেছে। কংগ্রেসসহ গোটা দেশ ফ্রান্সের পাশে আছে।