সীমান্তে কড়া নজর বিএসএফের, গরু পাচার প্রায় বন্ধ

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) কড়া নজরদারিতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচার প্রায় বন্ধ। অথচ বাংলাদেশে কোরবানি ঈদের আগের মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক গরু পাচার হতো বাংলাদেশে। এই সময়ে বৈধ ও পাচার হওয়া গরুতে সীমান্ত এলাকা থাকত জমজমাট। কিন্তু চলতি বছর ভারতের কড়া অবস্থানের কারণে সীমান্তে সুনসান নীরবতা।
ভারত থেকে বাংলাদেশে গরু পাচারের অন্যতম রুট পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। একই সঙ্গে মানবপাচারেরও অন্যতম রুট এটি। তবে এই বছর কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নির্দেশে পাচাররোধে বিএসএফের পাশাপাশি সক্রিয় পুলিশও। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গরু পাচারের রুটগুলোর ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। পাচারকারীরা যাতে সীমান্ত এলাকায় গরু কোনোভাবেই পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যেতে না পারে তার জন্য নজরদারি চালানো হচ্ছে।
তবে একেবারে কিন্তু বন্ধ হয়ে যায়নি গরু পাচার। স্থলপথে গরু পাচারের রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মরিয়া পাচারকারীরা এখন পানিপথে চালাচ্ছে গরু পাচার। প্রতি রাতে বসিরহাট সংলগ্ন ইছামতী নদীতে গরু ভাসিয়ে দিয়ে চলছে পাচার। এ ছাড়া উত্তর ২৪ পরগনার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়েও চলছে পানিপথে এই গরু পাচার।
নদীর পানিতে গরু ভাসিয়ে দিয়ে পাচার চালাতে গিয়ে গত শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জ থানার শোভাপুর সীমান্ত থেকে বাংলাদেশের মোট ২৯ জন পাচারকারীকে আটক করে বিএসএফ। অভিযানে উদ্ধার করা হয় ৩৫০টি গরুও। বিএসএফ পাচারকারীদের আটক করে স্থানীয় শমসেরগঞ্জ থানার হাতে তুলে দেয়। পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় আইনে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
মুর্শিদাবাদে এই পানিপথে পাচারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট সীমান্ত এলাকার পানিপথে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি। সেই সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাট মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ভারত-বাংলাদেশ পানিপথ সীমান্তে গরু পাচারসহ অনুপ্রবেশ এবং মানবপাচারকারীদের রুখতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে জেলা প্রশাসন।