ব্যালন ডি’অর জিতবেই ইয়ামাল : রাশফোর্ড

লামিন ইয়ামালের বয়সটা গত মাসেই ১৮ হয়েছে। বার্সার জার্সিতে সর্বশেষ মৌসুমে দুর্দান্ত কাটিয়েছেন এই স্প্যানিশ তরুণ। মৌসুমজুড়ে ফুটবলপ্রেমীরা তার পায়ের জাদু দেখেছে। নতুন মৌসুমে গায়ে জড়িয়েছেন লিওনেল মেসির বিখ্যাত ১০ নম্বর জার্সি। মৌসুমের শুরুতে বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে তার ট্রেডমার্ক গোল করে ফিরেছেন চেনা ছন্দে।
ইয়ামালকে দেখে লা লিগায় বার্সার জার্সিতে অভিষেক হওয়া মার্কাস রাশফোর্ড বেশ উচ্ছ্বসিত। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই যেভাবে ইয়ামাল মাঠে প্রভাব রাখছেন, তাতে বেশ অভিভূত এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড। তিনি বলেন, ‘এই বয়সে আমি যতজনের সঙ্গে খেলেছি, তাদের মধ্যে ও-ই সবচেয়ে প্রতিভাবান।’
এই মৌসুমে ধারে কাতালান ক্লাবটিতে এসেছেন রাশফোর্ড। গত শনিবার লা লিগায় বার্সার জার্সিতে অভিষেক হয়েছে তার। মায়োর্কার মাঠে ৩-০ গোলে জয়ের ম্যাচে তিনি মাঠে নামেন ৬৯তম মিনিটে। এই ম্যাচে ইয়ামাল দূরপাল্লার এক দুর্দান্ত শটে গোল করেন।
কাতালান সংবাদমাধ্যম ‘স্পোর্ত’কে–কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি এমন কাউকে দেখিনি বা খেলিনি যার খেলার ওপর এমন প্রভাব আছে। হয়তো রোনালদো নাজারিও... এত অল্প বয়সে এবং এত ধারাবাহিকভাবে মাঠে প্রভাব রাখা সত্যিই অবিশ্বাস্য। ওর সামনে অনেক বড় একটা ক্যারিয়ার অপেক্ষা করছে, আমি আশা করি সে এই মান ধরে রাখবে এবং আরও উন্নতি করবে।’
জুলাইয়ে ১৮ তে পা দিয়েছেন ইয়ামাল। এই বয়সেই তিনি বার্সেলোনার হয়ে লা লিগা ও কোপা দেল রে জিতেছেন। স্পেনের হয়ে জিতেছেন ইউরো ২০২৪। গত মৌসুমে লা লিগায় ৩৫ ম্যাচে ৯ গোল করেছেন ইয়ামাল। চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সার সেমিফাইনাল যাত্রায় করেন ৫ গোল।
২০২৪ ব্যালন ডি’অরের তালিকাতেও ইয়ামালের অবস্থান ছিল অষ্টম। এবারও সেরা দশে আছেন তিনি। রাশফোর্ড মনে করেন ভবিষ্যতে নিশ্চিতভাবেই ব্যালন ডি’অর জিতবেন ইয়ামাল। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, সে নিশ্চভাবে ব্যালন ডি’অর জিতবে। যদি এবার না-ও জেতে, ভবিষ্যতে অবশ্যই জিতবে। দেম্বেলে, রাফিনহারাও যোগ্য। তবে লামিন এতটাই কম বয়সী যে, এটা নিশ্চিত সে একদিন ব্যালন ডি’অর জিতবেই।’
গত আসরে ইয়ামালের খেলায় মুগ্ধ হয়ে রাশফোর্ড বলেন, ‘সে অসাধারণ প্রতিভাধর, দুর্দান্ত এক খেলোয়াড়। সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হলো বয়সের তুলনায় ওর মানসিকতা ও খেলার পরিপক্বতা অনেক বেশি। সে তার বয়সের খেলোয়াড়দের চেয়ে অনেক এগিয়ে। ওর সঙ্গে খেলাটা দারুণ এক অভিজ্ঞতা।’
কাতালান ক্লাবটিতে নিজের মানিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে র্যাশফোর্ড বলেন, ‘নতুন পরিবেশ, গতি আর খেলার ধরনে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি আমি। শেখার সবচেয়ে ভালো জায়গা হচ্ছে মাঠ। ভুল করব, তবে শেখার সুযোগও থাকবে। দলে খেলোয়াড়দের মান অনেক উঁচু, আর এটা শেখায় অনেক সাহায্য করে। আগেও বলেছি, আমার জন্য শেখার সবচেয়ে সহজ জায়গা হলো মাঠ।’