রাফিনিয়া-ইয়ামালের গোলে জয় দিয়ে শুরু বার্সার

পুরোনো জুটিতে ভরসা করেই নতুন মৌসুমে দারুণ এক সূচনা করেছে বার্সেলোনা। গত মৌসুমে আলো ছড়ানো রাফিনিয়া-ইয়ামালের শুরুটাও হয়েছে দারুণভাবে। প্রথম ম্যাচেই গোল পেয়েছেন দুজনেই। এতে ৯ জনের মায়োর্কার বিপক্ষে সহজ জয় দিয়েই লিগ শুরু করলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
গতকাল শনিবার (১৭ আগস্ট) দিনগত রাতে মায়োর্কাকে তাদের ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে বিপর্যস্ত করেছে বার্সেলোনা। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা তাদের আধিপত্যটা ধরে রাখে শুরু থেকেই। পুরো ম্যাচে ৭২ শতাংশ বল দখলে রেখেছে কাতালান ক্লাবটি। ২৪টি শট নিয়ে তারা লক্ষ্যে রাখে ৮টি। অন্যদিকে মায়োর্কা মাত্র ৪ শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে একটি।
ম্যাচের ৭ মিনিটেই এগিয়ে যায় এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। লামিন ইয়ামালের ক্রস থেকে ছুটে গিয়ে জোরালো হেডে বল জালে জড়ান রাফিনিয়া। গত মৌসুমে ১৮ গোল করা এই ব্রাজিলিয়ান তারকা এবারও ক্লাবের প্রথম ম্যাচেই গোলের দেখা পেলেন।
এরপর ২৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফেরান তোরেস। ইয়ামালের শট হেড করে ফেরানোর পর মাটিতে শুয়ে পড়েন মায়োর্কা অধিনায়ক আন্তোনিও রাইয়ো। তবে খেলা বন্ধ করেননি রেফারি। মায়োর্কা তখনও বল ক্লিয়ার করতে পারেনি। এতে বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান তরেস। এরপর ঠান্ডা মাথার শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
ম্যাচের ৩৩ মিনিটে ইয়ামালকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মনু মরনালেস। এর ছয় মিনিট পর বার্সা গোলরক্ষক হুয়ান গার্সিয়ার মুখ বরাবর পা তুলে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন ভেদাত মিউরিকি। যদিও প্রথমে তাকে হলুদ কার্ড দেখানো হলেও ভিএআর দেখার পর সিদ্ধান্ত পাল্টান রেফিারি। ৯ জনের দলে পরিণত হয়ে বড় ধাক্কা খায় স্বাগতিক ক্লাবটি।
দ্বিতীয়ার্ধে ২ জন কম নিয়ে মাঠে নামা মায়োর্কাকে বিরতির পর চোপে রাখে বার্সেলোনা। তবে সুযোগ পেয়েও সেভাবে কাজে লাগাতে পারেনি ইয়ামাল–তোরেসরা। এরপর খেলার যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে বাঁ পায়ের বাঁকানো শটে গোলের দেখা পান ইয়ামালও।
বর্সেলোনার জার্সিতে এদিন লা লিগায় অভিষেক হয়েছে মার্কাস রাশফোর্ডের। তবে ম্যাচে তিনি সেভাবে আলো ছড়াতে পারেননি ক্লাবটির হয়ে।