পাকিস্তানকে ৯২ রানে গুড়িয়ে ৩৪ বছরের খরা কাটালো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

জয় পেতে যেনো ভুলতে বসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে হারের বৃত্ত থেকে বের হয়েই দারুণ এক মুহূর্তের সাক্ষী হল ক্যারিবিয়ানদের এই দলটা। গতকাল মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) ত্রিনিদাদে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ২০২ রানের বড় জয় পেয়েছে তারা। এতেই ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে ৩৪ বছরের খরা কাটিয়েছে হোপ-সিলসরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সর্বশেষ পাকিস্তানের বিপক্ষে কোন দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয় পায় ১৯৯১ সালে। সেবার তারা ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে। এরপর গতকাল বিগত ৩৪ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটলো হোপ-সিলসরা।
গতকাল ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক শাই হোপের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ২৯৪ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে জেইডেন সিলসের গতির কাছে পরাস্ত হয়ে মাত্র ৯২ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬৮ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে ক্যারিয়িানরা। কিন্তু অধিনায়ক হোপ একপাশ থেকে রান তুলতেই থাকেন। ৪১.৫ ওভারে যখন গুদাকেশ মোতি যখন আউট হন, তখন স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৮৪।
এরপরই জাস্টিন গ্রেভসকে সঙ্গে নিয়ে ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকে হোপ। সপ্তম উইকেটে মাত্র ৫০ বলে ১১০ রানের জুটি গড়েন এই দুজন। ইনিংস শেষে হোপ ৯৪ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ১২০ রান ও গ্রেভস ২৪ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ রান করে অপরাজিত। ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক ক্যারিয়ারের ১৮তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এদিন। পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ ও আবরার আহমেদ।
২৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয় পাকিস্তান। ২৩ বছর বয়সী ক্যারিবীয় পেসার সিলসের গতির কাছে পরাস্ত হয়ে ৮ রানের মধ্যেই তারা তিন উইকেট হারিয়ে বসে তারা। দুই ওপেনার সাইম আইয়ুব ও আবদুল্লাহ শফিক ফিরেছেন রনের খাতা না খুলেই। এরপর অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান শূন্য রানে ফিরেন। ২৩ রানে ৪ রানে ৪ উইকেট হারানো পাকিস্তানের প্রথম চারটি উইকেটই গেছে সিলসের ঝুলিতে।
পঞ্চম উইকেটে ৬৭ বলে ৩৮ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে লজ্জা এড়াতে সহায়তা করে সালমান আগা ও হাসান নওয়াজ জুটি। দলীয় ৬১ রানে নওয়াজ ফিরেন ১৩ রান করে। এরপর আবার তারা ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত মাত্র ২৯.২ ওভারে ৯২ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।
ক্যারিবিয়ান পেসার সিলস এদিন ৭.২ ওভার বল করে ১৮ রান দিয়ে তুলে নেন ৬ উইকেট। প্রথম ৪ জনকে ফেরানোর পর শেষদিকে আরও দুই উইকেট তুলে নেন তিনি। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা বেলিং ফিগার এবং প্রথম ফাইফার।
ম্যাচসেরা হয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ।