অ্যাশেজ খেলতে বড় ঝুঁকি নিতে চান ওকস

ওভালে ইংল্যান্ড-ভারত টেস্ট সিরিজের শেষ ম্যাচের প্রথম দিনে চোটে পড়েন ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস। ফিল্ডিং করতে গিয়ে বা কাঁধে চোট পান তিনি। এই চোটে ম্যাচ থেকে ছিটকে যান ওকস। তবে ম্যাচের শেষদিনে দলের প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন তিনি। আবারও অ্যাশেজ খেলতে ঝুঁকির পথ বেঁছে নিতে চান এই ইংলিশ পেসার।
বাউন্ডারি বাঁচাতে বাউন্ডারি রোপের কাছে ডাইভ দেন ওকস। বলকে বাউন্ডারি থেকে বাঁচাতে পারলেও নিজে মাঠ ছাড়েন চোট নিয়ে। সে সময় প্রচণ্ড ব্যথায় সোয়েটারকে স্লিংয়ের মতো বানিয়ে হাত ঝুলিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর বোলিং তো দূরের কথা, ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়েও নামেননি তিনি।
পরে স্ক্যান রিপোর্টে জানা যায়, বা কাঁধের হাড় সরে গেছে ওকসের। যে কারণে অস্ত্রোপচার করাতে হবে তাকে। তবে সে পথে হাঁটতে চান না এই ইংলিশ পেসার। ঝুঁকি নিয়ে খেলতে চান ঐতিহ্যবাহী অ্যাসেজ সিরিজ।
পার্থে আগামী ২১ নভেম্বর শুরু হবে এবারের অ্যাশেজ সিরিজ। ওকস যদি অস্ত্রোপচার করান, তাহলে তিন থেকে চার মাসের মতো পুনর্বাসনে থাকতে হবে তাকে। যেটা তার অ্যাশেজ খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি করছে। তবে, অস্ত্রোপচার ছাড়াও পুনর্বাসনের মাধ্যমে সাময়িকভাবে সুস্থ হতে পারেন ওকস। তবে, ঝুঁকি থাকে আবারও চোট ফিরে আসার। সেই ঝুঁকি নিতে চান তিনি।
আপাতত কাঁধের স্ক্যান রিপোর্টের অপেক্ষায় আছেন ওকস। বিবিসি স্পোর্টসকে তিনি বলেন, সুযোগ থাকলে কেবল পুনর্বাসনের মাধ্যমে সেরে ওঠে অস্ট্রেলিয়া সফরে যেতে চান তিনি।
ওকস বলেন, ‘চোট কতটা গুরুতর সেটা জানার অপেক্ষায় আছি। তবে আমার মনে হয়, বিকল্প হলো অস্ত্রোপচার করা কিংবা পুনর্বাসনের পথ বেছে নেওয়া এবং যতটা সম্ভব সেরে ওঠার চেষ্টা করা। আমার মনে হয়, স্বাভাবিকভাবেই এর (কেবল পুনর্বাসন) ফলে চোটের পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, তবে আমি মনে করি এই ঝুঁকি নেওয়া যেতে পারে।’
অস্ত্রোপচার আর পুনর্বাসনের সময়ের পার্থক্য জানিয়ে ওকস বলেন, ‘ফিজিও ও বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে আমি যেটা শুনেছি, অস্ত্রোপচারের পর পুনর্বাসন তিন থেকে চার মাসের মতো চলতে পারে। যা স্পষ্টতই অ্যাশেজ ও অস্ট্রেলিয়া সফরের কাছাকাছি সময়ে চলে যাবে… আর পুনর্বাসনের মাধ্যমে সম্ভবত ৮ সপ্তাহের মধ্যে চোট কাটিয়ে ওঠা যায়। তাই এটা একটা বিকল্প হতে পারে, তবে এখনও পুরো রিপোর্ট পাওয়ার অপেক্ষায় আছি।’