১২ বছর বয়সে পদক জিতে রেকর্ড গড়লেন চীনা সাঁতারু

যেই বয়সে বেশির ভাগ ছেলে-মেয়ের জায়গা হয় পড়ার টেবিলে, আনমনে ঘুরে বেড়ায় বন-বাদারে। সেই বয়সে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন চীনের এক স্কুল বালিকা। মাত্র ১২ বছর ৯ মাস বয়সে সাঁতারের পুলে নেমে নতুন এক রেকর্ড গড়েছেন যু জিদি। ‘বিশ্বসাঁতার চ্যাম্পিয়শিপে’ সর্বকনিষ্ঠ পদকজয়ী তিনি।
সিঙ্গাপুরে ‘বিশ্বসাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপের’ রিলে ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জিতেছে চীন। সেই দলের সদস্য হিসেবে পদক পেয়েছেন যু জিদি। এতেই নাম লিখিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়। কিন্তু মজার বিষয় হলো বৃহস্পতিবার ফাইনালে খেলেননি তিনি। তবুও পেয়েছেন পদক।
মূলত সপ্তাহের শুরুতে মেয়েদের ৪ গুণিতক ২০০ মিটার ফ্রিস্টাইলে রিলের হিটে সাতরেছিলেন যু জিদি। কিন্তু সেখানে খুব বেশি দূর যেতে পারেননি তিনি। তবে, নিয়ম অনুযায়ী রিলের ক্ষেত্রে দল পদক পেলে হিটে অংশ নেওয়া সাঁতারুরাও পদক জেতার মর্যাদা পান। সেই নিয়মেই পদক জিতে ইতিহাস গড়লেন চীনের এই সাঁতারু।
যু জিদি ‘বিশ্বসাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপে’ রেকর্ড গড়লেও বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ সাঁতারুর রেকর্ডটি ডেনমার্কের সাঁতারু ইনগে সোরেনসেনের। ১৯৩৬ বার্লিন অলিম্পিকে ১১ বছর ১১ মাসে ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন সোরেনসেন।
বিশ্বসাঁতারে রেকর্ড গড়ার প্রতিক্রিয়ায় যু জিদি বলেছে, ‘এটা বেশ আবেগময় অনুভূতি, আমার ভীষণ ভালো লাগছে।’
এর আগে বৃহস্পতিবারই পদক জিততে পারতেন যু জিদি। কিন্তু মেয়েদের ২০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে অল্পের জন্য হেরে যায় সে। চতুর্থ স্থানে প্রতিযোগিতা শেষ করেন যু জিদি। এর আগে গত সোমবার ব্যক্তিগত মিডলের ফাইনালেও যু জিদি মাত্র ০.০৬ সেকেন্ডের ব্যবধানে পদক হাতছাড়া করে। সেখানেও চতুর্থ স্থানেই শেষ করে সে।
এমন অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিকস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে ‘সেনসেশন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে।
বিশ্বসাঁতারে এই ইভেন্টে সোনা জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। রুপা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের দখলে। তৃতীয় স্থানে থেকে ব্রোঞ্জ পেয়েছে চীন।