শঙ্কা ও সম্ভাবনার মাঝে কিউবা মিচেলের ভবিষ্যৎ

সোমবার রাতে হঠাৎ করে ফুটবল পাড়া হয়ে ওঠে সরগরম। কিউবা মিচেল বাংলাদেশে আসছেন, এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। তাকে জাতীয় দলে খেলানোর জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এ খবর তো পুরোনো। কিউবার বাংলাদেশে আসা নিয়ে তাই অবাক হওয়া কেন?
এই ফুটবলার বাংলাদেশে আসবেন, তবে সেটা বসুন্ধরা কিংসের হয়ে খেলার জন্য। দলবদলের বাজারে দারুণ চমক দেখিয়েছে কিংস। পুরো তিন মৌসুমের জন্য কিউবাকে আনছে ক্লাবটি। ঠিক এই খবরেই নড়েচড়ে বসে সবাই। অনেকের মনে চেপে ধরেছে শঙ্কা, ছেলেটার ক্যারিয়ার শুরুর আগেই না শেষ হয়ে যায়! কেউ বলছেন, বড্ড তাড়াহুড়ো করেছে কিউবা।
ইংল্যান্ডে জন্ম নেওয়া কিউবা আগ্রহ দেখান বাংলাদেশের হয়ে খেলার। ১৯ বছর বয়সী এই ফুটবলারকে পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশও। ডিফেন্সিভ, সেন্ট্রাল ও অ্যাটাকিং—মিডফিল্ডের তিন পজিশনে পারদর্শী কিউবা। সান্ডারল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-১৮ দলে ২৫ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে তার। ডাক পান অনূর্ধ্ব-২১ দলেও। যা তাকে এগিয়ে রাখছে সমসাময়িক বাংলাদেশিদের চেয়ে।
এমন একজন ফুটবলার কি না ইউরোপ ছেড়ে বাংলাদেশে আসছেন। যেখানে নেই অবকাঠামোর ঠিকঠিকানা, মাঠের অবস্থা বেহাল। কিউবার ক্যারিয়ার এখন গড়ার সময়। বাংলাদেশের ক্লাবে খেলার সিদ্ধান্তকে তাই অপরিণত মনে হয়েছে অনেকের। বিশেষ করে বসুন্ধরা কিংস ও জাতীয় স্টেডিয়াম ছাড়া অন্যান্য মাঠগুলোতে খেলোয়াড়দের চোটের ঝুঁকি থাকে বেশি।
বসুন্ধরা কিংস অবশ্য কিউবাকে বড়সড় আর্থিক অঙ্কেই আনছে। এমনকি বাংলাদেশের ফুটবলে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া খেলোয়াড়ে পরিণত হতে পারেন কিউবা। এখনই এসব নিয়ে কথা বলেনি কিংস কর্তৃপক্ষ। এনটিভি অনলাইনকে বসুন্ধরা কিংসের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান শুধু বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা কিউবাকে দলে ভিড়িয়েছি। আপাতত তিন মৌসুমের জন্য তার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।’
হামজা চৌধুরীর আগমনে দেশের ফুটবলের চিত্র বদলে গেছে। এবার কিউবার হাত ধরে যদি ঘরোয়া ফুটবল বদলায়, তবেই সার্থকতা। সেক্ষেত্রে বলা যাবে, ঘরোয়া ফুটবলে আসার সিদ্ধান্ত একেবারে ভুল ছিল না। যদিও, এই দায়িত্ব নিতে হবে বাফুফেকে।