হামজার সঙ্গে খেলতে মুখিয়ে কিউবা

কানাডার জাতীয় দলে ২ ম্যাচ খেলা শমিত সোমের পর বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় রয়েছেন কিউবা মিচেল। ২০২৪-২৫ মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ওঠা সান্ডারল্যান্ডের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলেছেন ১৯ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার।
বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হওয়া শেফিল্ড ইউনাইটেডের হামজা চৌধুরীরর সঙ্গে কথা বলে কিউবা এখন বেশ রোমাঞ্চিত বাংলাদেশের হয়ে খেলতে। স্থানীয় একটি পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে এমনটিই জানিয়েছেন তিনি। সান্ডারল্যান্ডের স্থানীয় পত্রিকা ম্যাকম নিউজেকে নিজের ভবিষ্যৎ এবং বাংলাদেশের হয়ে খেলা নিয়ে কথা বলেছেন কিউবা।
কিউবার বাবা জ্যামাইকান ও মা বাংলাদেশি। ফলে বাংলাদেশ, জ্যামাইকা ও ইংল্যান্ড—তিন দেশের হয়েই খেলার সুযোগ ছিল, কিন্তু তিনি বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশকে। বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামতেও বেশ আগ্রহী এখন তিনি। সান্ডারল্যান্ডের একাডেমি থেকে উঠে আসা কিউবা বলেন, ‘আমি ইতোমধ্যেই হামজা চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা প্লে-অফ ফাইনাল এবং বাংলাদেশে তার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছি। ওখানকার সমর্থন ছিল দারুণ, একেবারে অসাধারণ। আমি এখন রোমাঞ্চিত—সেখানে গিয়ে খেলতে চাই এবং দেখতে চাই, শুধু এই অভিজ্ঞতাই আমাকে ভবিষ্যতে আর কী কী সুযোগ এনে দেয়।’
প্রিমিয়ার লিগে ওঠার লড়াইয়ে প্লে-অফের ফাইনালে হামজা চৌধুরীর শেফিল্ড ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয় সান্ডারল্যান্ড। প্লে-অফের ফাইনালে শেফিল্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ৮ বছর পর ২০২৫-২৬ মৌসুমে সান্ডারল্যান্ড প্রিমিয়ার লিগে উঠেছে। যেকারণে তাদের স্কোয়াডের আকার বাড়াতে অনেক একাডেমি গ্রজুয়েটকেই ছাটাইয়ের তালিকায় রেখেছে তারা।
কিউবা মিচেলও আছেন ছাটাইয়ের সেই তালিকায়। তাই আপাতত স্টেডিয়াম অফ লাইটকে বিদায় বলতেই হচ্ছে তাকে। তবে বাংলাদেশ দলে ডাক পওয়ায় তার আরো সুযোগ তৈরি হয়েছে বলেই মনে করেন। এমন পরিস্থিতিতে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কিউবা বলেন, ‘বাংলাদেশ দলে ডাক পাওয়ার খবরই অনেক নতুন দরজা খুলে দিয়েছে, এবং এতে আমার অবস্থান আরও ভালো হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। আমি অবশ্যই বিদেশে যাওয়ার চিন্তা করছি, বিষয়টা এখন পর্যালোচনার মধ্যে আছে। যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালো-মন্দ দিকগুলো বুঝে দেখা দরকার, ইংল্যান্ডেই থেকে উন্নতির চেষ্টা করব, নাকি বিদেশে গিয়ে নতুন অভিজ্ঞতা নেব, সেটা নিয়েই ভাবছি।’
ভবিষ্যতের জন্য কোন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকারে তাও জানান কিউবা। তার জন্য উপযুক্ত এবং ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যতের পথে কোনটা সবচেয়ে ভালো সেই বিষয়টি ভেবেই সিদ্ধান্ত নিতে চান কিউবা। ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন সঠিক পথ খুঁজে পাওয়াটাকেই। সবসময় বল পায়ে খেলতে এবং গেমের ছন্দ ধরে রাখতেই পছন্দ করেন বলে জানান তিনি। যেসব ক্লাব এই ধরনের খেলাকে সমর্থন করে এবং তরুণ খেলোয়াড়দের সুযোগ দেয়, সেখানে যাওয়াই হবে তার জন্য উপযুক্ত বলে মনে করেন এই তরুণ মিডফিল্ডার।