বাংলাদেশকেই ফেভারিট মানছে বাকি তিনদল

আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে নারীদের সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ। টূর্নামেন্টের এবারের আসরের স্বাগতিক দেশ বাংলাদেশ। সবগুলো ম্যাচই হবে কিংস অ্যারেনায়। টুর্নামেন্টের আগে আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ছিল সংবাদ সম্মেলন। সেখানে এসেছিলেন অংশগ্রহণকারী তিন দল নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও ভুটানের প্রতিনিধিরা। সবার মুখেই শোনা গেল একই কথা- টুর্নামেন্টের পরিষ্কার ফেভারিট বাংলাদেশ।
এক সপ্তাহ হয়নি মিয়ানমারে নারী এশিয়ান কাপে খেলা নিশ্চিত করে এসেছে বাংলাদেশ। সেজন্য বাংলার বাঘিনীদের অভিনন্দন জানান ভুটানের কোচ থানকা মায়া ঘালি। বাংলাদেশকে তো পরিষ্কার ফেভারিট ও শিরোপার দাবিদার বলছেন- শ্রীলঙ্কার কোচ শ্রীনাথা কুমারা। এর আগে শিরোপার লড়াই হতো ভারত ও নেপালের মধ্যে। এবার ভারত নেই। তাই শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে নেপালের কোচ ইয়াম প্রসাদ গুরুং। তবে তার মুখেও বাংলাদেশকে সমীহ করার মতো বাক্য।
এর পেছনে কারণও আছে। অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্ট হলেও বয়স কম থাকায় এ টুর্নামেন্টে খেলছেন জাতীয় দলের সাতজন ফুটবলার। এশিয়ান কাপে জায়গা করে নেওয়া দলের অধিনায়ক স্বয়ং আফঈদা খন্দকারই অনূর্ধ্ব-২০ দলেরও অধিনায়ক। এই টুর্নামেন্টেও বাংলাদেশের কোচ থাকছেন পিটার বাটলারই। তার উপর ঘরের মাঠে খেলা হওয়ায় বাকিদের চেয়ে বেশ এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশ।
এশিয়ান কাপে কোয়ালিফাই করায় বাংলাদেশের সামনে এখন বিশ্বকাপে খেলার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। এ অবস্থায় জাতীয় দলের অধিনায়কই আবার সাফে বয়সভিত্তিক দলে নেতৃত্বে দেওয়ায় নানান কথা শোনা যাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে নেপালের কোচ প্রসাদ গুরুংও বোধহয় বাংলাদেশকে কিছুটা খোঁচাই মারলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই দলে সিনিয়র দলের কেউ নেই। এখান থেকে খেলে খেলোয়াড়রা প্রস্তুত হয়ে জাতীয় দলে যাবে।’
বয়সভিত্তিক দলে খেলা নিয়ে আফঈদা বলেন, ‘আমরা এশিয়া কাপ খেলব, এজন্য সাফকে ছোট করে দেখার কিছু নেই। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার লোক, সাফ খেলব।’
কোচ পিটার বাটলারও কথা বলেছেন এই বিষয় নিয়ে। ইংলিশ এই কোচ আফঈদার চেয়েও আরেকটু দৃঢ় কণ্ঠে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘অন্য দল সিনিয়র খেলোয়াড় নিয়েছে কি নেয়নি এটা তাদের ব্যাপার। আমরা আমাদের দলের উন্নতির প্রয়োজনে নিয়েছি।’
বাংলাদেশের প্রথম মিশন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ফেভারিট বাংলাদেশের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক নয়, রক্ষণাত্মক কৌশলে খেলবে শ্রীলঙ্কা। সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন দলটির কোচ শ্রীনাথা। তিনি বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে আমাদের বাংলাদেশের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক খেলার সামর্থ্য নেই। আমাদের দলের অনেক খেলোয়াড় অনূর্ধ্ব-১৮ বয়সী। অভিজ্ঞতার জন্যই আমাদের এই টুর্নামেন্টে আসা।’
চার জাতির এই টুর্নামেন্টের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টের এবারের আসরে ভারত না থাকায় বাংলাদেশ-নেপাল লড়াই হবে। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী কোনো ফাইনাল ম্যাচ নেই। সবাই সবার সঙ্গে দুটি করে ম্যাচ খেলবে। ছয় ম্যাচ শেষে পয়েন্টের শীর্ষে থাকা দল পাবে শিরোপার স্বাদ।