ঠোঁট ভালো রাখতে চাইলে

দেহের সংবেদনশীল ত্বকের মধ্যে ঠোঁট একটি। ঠোঁটের ত্বকের গঠন-প্রকৃতিও ত্বকের অন্যান্য অংশের থেকে আলাদা। তাই ঠোঁট সুন্দর ও ভালো রাখতে কিছু বাড়তি সচেতনতা জরুরি।
সৌন্দর্য বিকাশে ঠোঁটের ভূমিকা অনেক। খাওয়া, কথা বলা ও পারিপার্শ্বিক আকর্ষণ বিনিময়ের সময় ঠোঁট ব্যবহৃত হয় বলে এর গুরুত্ব আরো বেশি। ঠোঁটের সামান্য সমস্যাও অবহেলা করা উচিত নয়।
বিভিন্ন সমস্যা থেকে ঠোঁটকে মুক্ত রাখতে এবং ঠোঁটের পরিচর্যার জন্য কয়েকটি পরামর্শ দেওয়া হলো :
• ঠোঁট ভালো রাখতে তীব্র রোদে বেশি ঘোরাঘুরি করা যাবে না। প্রয়োজনে রোদে কাজ করার সময় ছাতা, ক্যাপ ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।
• আবহাওয়া শুষ্ক হলে ভ্যাসলিন, গ্লিসারিন ঠোঁটে ব্যবহার করতে হবে। এতে ঠোঁটের শুষ্কতা, রুক্ষতা এবং ফেটে যাওয়া দূর হয়ে ঠোঁট নরম ও মোলায়েম হবে।
• সিগারেট, পান, সুপারি, গুল, জর্দা ইত্যাদি যতদূর সম্ভব পরিহার করতে হবে।
• দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ানো, নখ দিয়ে ঠোঁটের চামড়া টানা, জিহ্বা দিয়ে ঠোঁট চোষা—এ ধরনের অভ্যাস থাকলে সেগুলো অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
• যেকোনো খাবার বা পানীয় অতিরিক্ত গরম অবস্থায় কখনো খাওয়া উচিত নয়, গ্রহণযোগ্য মাত্রায় ঠান্ডা করে খাওয়া উচিত।
• ঠোঁটে অস্বাভাবিক কোনো পরিবর্তন হলে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে। যেমন : ফুলে যাওয়া, ব্যথা, চুলকানি বা জ্বালাপোড়া ইত্যাদি।
• সামনের দিকে ধারালো বা আঁকাবাঁকা, আসল বা কৃত্রিম দাঁত থাকলে তা একজন ডেন্টাল সার্জনকে দিয়ে ঠিক করে নিতে হবে।
• ঠোঁটের পাতলা সংবেদনশীল ত্বককে সব সময় আঘাত থেকে মুক্ত রাখতে হবে। এগুলো করলে ঠোঁট ভালো রাখা সম্ভব।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপিকা, ফার্মাকোলজি অ্যান্ড থেরাপিউটিক্স, ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ।