বিষণ্ণতা কাটাতে হলুদ-তেঁতুলের জুস!

হলুদ একটি অ্যান্টিসেপটিক মসলা। এর মধ্যে রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান। রয়েছে ব্যথানাশক, ডায়াবেটিসরোধী ও বিষণ্ণতারোধী উপাদান। বহুকাল আগে থেকেই বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার সমাধানে হলুদ ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে আপনি কি জানেন, হলুদ বিষণ্ণতা কাটাতে বেশ ভালোভাবে কাজ করে?
বর্তমান চাপযুক্ত জীবনে বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন খুব প্রচলিত সমস্যা। বিষণ্ণতা থেকে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে। বিষণ্ণতা থেকে হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের মতো ঘটনাও ঘটতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘হলুদের মধ্যে রয়েছে বিষণ্ণতারোধী উপাদান। হলুদের জুস বিষণ্ণতা কাটাতে চমৎকার কাজ করে।’
হলুদ স্নায়ু পদ্ধতির উন্নতি করতে সাহায্য করে। বিষণ্ণতা কমায় ও মেজাজ ভালো করতে কাজ করে। এ ছাড়া নিয়মিত এই পানীয় খেলে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ প্রতিরোধ হয়। হলুদ বিভিন্ন সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করে। তাই প্রতিদিন হলুদের জুস পান করতে পারেন।
জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই প্রকাশ করেছে এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
তবে হলুদের পাশাপাশি এর সঙ্গে আপনাকে যোগ করতে হবে তেঁতুল, মধু ও লেবু।
কীভাবে বানাবেন হলুদের জুস
উপাদান
- মধু—দুই টেবিল চামচ
- পানি—এক গ্লাস
- লেবু—দুই টুকরো
- হলুদ গুঁড়া—এক টেবিল চামচ
- তেঁতুলের পেস্ট—এক টেবিল চামচ
প্রণালি
- পানির মধ্যে হলুদের গুঁড়া দিন। একে কিছুক্ষণ অল্প আঁচে ফুটান। এর পর হলুদ পানিটি চুলা থেকে নামান।
- এর পর হলুদের পানির মধ্যে তেঁতুলের পেস্ট দিন। ভালোভাবে মেশান।
- মিশ্রণটির মধ্যে সামান্য পরিমাণ লেবুর রস দিন ও মধু দিন।
- মিশ্রণটি পাঁচ মিনিট ব্লেন্ড করুন। তৈরি হয়ে গেল হলুদ-তেঁতুলের জুস।
বিষণ্ণতা যদি কম থাকে, দুদিন জুসটি খেলেই ভালো বোধ করবেন। আর যদি প্রায়ই জুসটি খান, তবে বিষণ্ণতার ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।