ফুড পয়জনিং হলে কী করবেন

ফুড পয়জনিং খুব প্রচলিত সমস্যা। কোনো খাবার খাওয়ার পর বারবার বমি, পাতলা পায়খানা, জ্বর, পেট ব্যথা ইত্যাদি হওয়া ফুড পয়জনিংয়ের লক্ষণ। গরমের সময় অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হন। জীবাণুযুক্ত খাবার, অস্বাস্থ্যকর খাবার, ময়লাযুক্ত থালাবাসনে খাবার খাওয়া এগুলো ফুড পয়জনিং তৈরি করতে পারে।
ফুড পয়জনিং হয়ে অবস্থা যদি বেশি খারাপ হয়, তাহলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। তবে তার আগে পালন করতে পারেন কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথ ডাইজেস্ট জানিয়েছে পদ্ধতিগুলোর কথা।
আদা
এক কাপ আদার চা দুপুরের খাবার অথবা রাতের খাবারের পর পান করুন। এটি বুক জ্বালাপোড়া, বমি ইত্যাদি সমস্যা প্রতিরোধ করবে।
আদার চা বানাতে এক চামচ আদা কুচি এক কাপ পানিতে ফুটান। এর মধ্যে সামান্য চিনি দিন। এরপর পান করুন।
এ ছাড়া এক চা চামচ মধুর মধ্যে কয়েক ফোঁটা আদার রস দিন। ব্যথা ও প্রদাহ দূর করতে দিনে কয়েকবার এটি খেতে পারেন।
রসুন
রসুন ফুড পয়জনিংয়ের সঙ্গে চমৎকারভাবে লড়াই করে। এটি ডায়রিয়া, পেটে ব্যথা কমায়।
- রসুনের জুস খেতে পারেন।
- একটি রসুনের কোয়া ধীরে ধীরে চিবিয়ে খান। পানি পান করুন।
- রসুনের তেল ও সয়াবিন তেল একসঙ্গে মিশিয়ে পেটে ঘষতে পারেন।
লেবু
লেবুর মধ্যে রয়েছে প্রদাহরোধী, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। লেবু ফুড পয়জনিং তৈরিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোর সঙ্গে লড়াই করে।
- এক চামচ লেবুর রসের মধ্যে এক চিমটি চিনি মেশান। দিনে দু-তিনবার এভাবে খান।
- এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এটিও ফুড পয়জনিং কমতে সাহায্য করবে।