কলার খোসা খেলে কী হয়?

কলার মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ—এটি প্রায় সবারই জানা। তবে আপনি জানেন কি, কলার খোসাতেও রয়েছে অনেক পুষ্টি? কলার খোসা খেলে বাজে কোলেস্টেরল কমে, চোখ ভালো থাকে। এ ছাড়া এটি হজম প্রক্রিয়াতেও সাহায্য করে।
বিজনেস ইনসাইডার, বিটজজিভেগান, মেট্রো ওয়েবসাইট জানিয়েছে কলার খোসা খাওয়ার উপকারের কথা।
১. কলার খোসার মধ্যে রয়েছে ট্রাইপটোফেন। এটি একটি প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো এসিড। এটি মস্তিষ্কের সুখী হরমোন বাড়াতে সাহায্য করে।
২. কলার খোসার মধ্যে রয়েছে সলিউবল ও ইনসলিউবল আঁশ। গবেষণায় বলা হয়, সলিউবল আঁশ শরীরের লো-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন, অর্থাৎ বাজে কোলেস্টেরলকে কমাতে সাহায্য করে।
৩. কলার খোসার মধ্যে থাকা আঁশ হজমে সাহায্য করে। এটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। এটি খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৪. এর মধ্যে থাকা ভিটামিন-সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৫. কলার খোসার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম। এটি শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া এর মধ্যে থাকা ম্যাগনেশিয়াম শরীরে শক্তির জোগান দেয়।
৬. এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি কোষের ক্ষতি প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৭. এতে রয়েছে লুটেইন, যা চোখের ছানি প্রতিরোধ করে। চোখকে ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতি থেকে সুরক্ষিত রাখে।
কীভাবে খাবেন কলার খোসা
কাঁচা কলার খোসা সেদ্ধ করে ভর্তা করে বা সবজির মতো রান্না করে খেতে পারেন। এ ছাড়া খোসাকে কাঁচাও খাওয়া যায়। তবে খাওয়ার আগে কলাকে ভালোভাবে পাকার জন্য সময় দিন এবং খোসাকে পাতলা হতে দিন। তখন এটি কিছুটা মিষ্টি হবে এবং খেতে ভালো লাগবে। পাকা কলার খোসা খেলে খোসার ভেতরের সাদা দিকটি খাবেন। তবে অনেকে পাকা কলার খোসাও খাওয়ার আগে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নেয়।
কলার খোসা খাওয়া নিয়ে কিন্তু অনেক বিতর্কও রয়েছে। করনেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড লেভিটস্কি বলেন, মানুষ সব সময় জাদুকরি খাবার খোঁজে। খাবার শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। তবে এটি কোনো কিছুর জাদুকরি উত্তর নয়। কলার খোসার মধ্যে অনেক স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। তবে এটি যদি হজম করতে পারেন, তখনই খাওয়া ভালো।
বর্তমানে বাজারের অধিকাংশ ফলেই পেস্টিসাইড ব্যবহার করা হয়। এটি দেহের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। তাই যদি কলার খোসা খেতেই চান, তাহলে এতে যেন পেস্টিসাইড বা কীটনাশক না থাকে—সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে নিন।