বুসানে ‘জুলাই মেমোরিয়াল প্রাইজ’ জিতল কিরগিজস্তানের চলচ্চিত্র

বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের জুলাই মেমোরিয়াল পদক জিতেছে কিরগিজিস্তানের চলচ্চিত্র ‘কুরাক’। গত ১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ৩০তম আসর শেষ হচ্ছে আজ শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর)। একদিন আগে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে চলচ্চিত্রটির পরিচালক এরকে ঝুমাকমাতোভার হাতে পুরস্কার তুলে দেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
উৎসবের ‘ভিশন এশিয়া’ বিভাগে ছিল ১১টি সিনেমা, এরমধ্যে থেকে প্রথমবারের মতো ‘জুলাই মেমোরিয়াল প্রাইজ’ জিতে নিল এমিল আতাগেল্ডিজেভ ও এরকে জমাকমাতোভা নির্মিত কিরগিস্তানেরসি নেমা ‘কুরাক’।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও খ্যাতনামা চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তার হাত থেকেই এই পুরস্কার গ্রহণ করেন নির্মাতা এরকে জমাকমাতোভা।

ফারুকী এই মুহূর্তটি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করে লিখেছেন, “বাংলাদেশের জুলাই আন্দোলনের চেতনা স্মরণে চালু হওয়া প্রথম ‘জুলাই মেমোরিয়াল প্রাইজ’ কিরগিস্তানের ‘কুরাক’ সিনেমাকে দেওয়া হলো। তারা আরও একটি পুরস্কারও অর্জন করেছে। ইন্দোনেশিয়ার সিনেমা ‘অন ইয়োর ল্যাপ’ চারটি পুরস্কার অর্জন করেছে। বাকি পুরস্কারগুলো কোরিয়া, ভারত, ইরান ও কাজাখস্তানের সিনেমাগুলোর মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। সব বিজয়ীকে অভিনন্দন। ৩০তম বর্ষপূর্তিতে বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবকে অভিনন্দন।’’
বাংলাদেশের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আগেই জানিয়েছিল, ৩০তম বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথমবারের মতো চালু করা হয় ‘জুলাই মেমোরিয়াল প্রাইজ’, যা সামাজিক ন্যায়বিচার, বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, নাগরিক অধিকার বা অসাম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিষয়ভিত্তিক চলচ্চিত্রকে সম্মান জানানোর জন্য প্রবর্তন করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) উৎসবে যোগ দিয়ে ফারুকী ফেসবুকে লিখেছিলেন, “বুসানে ফিরে আসা সবসময়ই ভালো লাগে। সরকারি দায়িত্বে থাকলেও উৎসব ও সারা বিশ্ব থেকে আসা বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা আমাকে অনেক প্রাণের হাওয়া দিয়েছে। সিনেমাকে ঘিরে আড্ডা, হাসি-ঠাট্টা অনেক মিস করছিলাম। আর কয়েক মাস পরই আমি আবার আমার জগতে ফিরব।”
কুরাক চলচ্চিত্রটি শুরু হয় ২০২০ সালের কিরগিজিস্তানের রাজধানী বিশকেকে নারী বিক্ষোভের দৃশ্য দিয়ে, যেখানে পুরুষদের হামলা ও পুলিশের গ্রেপ্তারে সমাবেশ ভেঙে যায়। সেখান থেকে কাহিনি প্রবাহিত হয় দুই তরুণী—গোপন ওয়েবক্যাম মডেল মীরিম ঐ সদ্য প্রেমে পড়া নারগিজার জীবনে।