বিটিভিতে ফিরছে ‘নতুন কুঁড়ি’
শিশু-কিশোরদের প্রতিভা অন্বেষণের জনপ্রিয় অুনষ্ঠান ‘নতুন কুঁড়ি’। দীর্ঘ ১৯ বছর পর অনুষ্ঠানটি আবারও শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি)। নতুন কুঁড়ি ফেরার খবর দর্শকদের মনে খুশির জোয়ার বয়ে এনেছে, কেউ কেউ হয়ে পড়ছেন স্মৃতিকাতর।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজস্ব পেইজে এই তথ্য জানিয়েছে বিটিভি।
জানা গেছে, ১৫ আগস্ট থেকে অনলাইনে নতুন কুঁড়ির রেজিস্ট্রেশন শুরু হবে। পুরো দেশকে ২০ অঞ্চলে ভাগ করে বাছাই চলবে। সেখান থেকে বিজয়ীরা যাবে মূল প্রতিযোগিতায়।
একক অভিনয়, দলীয় অভিনয়, লোকনৃত্য, উচ্চাঙ্গ নৃত্য, দেশাত্মবোধক গান, নজরুলসংগীত, রবীন্দ্রসংগীত, লোকগীতি, ছড়া আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, গল্প বলা ইত্যাদি বিষয়ে ‘ক’ ও ‘খ’ শাখায় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ক শাখার প্রতিযোগীদের বয়সসীমা ৬ থেকে ১০ এবং খ শাখার ক্ষেত্রে ১১ থেকে ১৫ বছর।
নতুন কুঁড়ির হাত ধরে দেশের মিডিয়ায় প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন অনেক শিল্পী। অনুষ্ঠানটি শুধু শিশু কিশোরদের অনুপ্রাণিত করেনি, বরং দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বহু তারকার জন্ম দিয়েছে।
মোস্তফা মনোয়ারের প্রযোজনায় ১৯৭৬ সালে বিটিভিতে শুরু হয় রিয়েলিটি শো নতুন কুঁড়ি। এরপর ২০০৬ সাল পর্যন্ত এই অনুষ্ঠানের সম্প্রচার চলে। সে সময় এই অনুষ্ঠানের তুমুল জনপ্রিয়তা ছিল। গান, নাচ, অভিনয়, আবৃত্তি ও অন্যান্য শিল্পকলার প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তরুণ প্রতিভা খুঁজে বের করেছে এই অনুষ্ঠান।
২০০৬ সালে বিটিভির আর্থিক সংকট, বেসরকারি চ্যানেলের উত্থান এবং গণমাধ্যম পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণে অনুষ্ঠানটির সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। দেশব্যাপী অডিশন, সরাসরি সম্প্রচার ও বিচার প্রক্রিয়া টিকিয়ে রাখা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে।
২০২০ সালে অনুষ্ঠানটি পুনরায় শুরু করার পরিকল্পনার খবর প্রকাশিত হলেও কোভিড-১৯ মহামারির কারণে তা সম্ভব হয়নি।
দীর্ঘ বিরতির পরও নতুন কুঁড়ি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক অনন্য প্রতীক হয়ে আছে। এর প্রত্যাবর্তনের খবরে আজও উচ্ছ্বাসে ভাসছে দর্শকরা।