একটাই লক্ষ্য, অভিনয় করে যাওয়া : নিশা

মিডিয়ার প্রতি আগ্রহটা ছোটবেলা থেকেই। সেই আগ্রহ থেকেই নাম লেখান ২০১০ সালের লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায়। সেখানেই বাজিমাত! নিজের প্রতিভা আর সৌন্দর্যে হাজার হাজার প্রতিযোগীকে টপকে হয়ে যান দ্বিতীয় রানার আপ। সেই মেহরিন ইসলাম নিশা এখন এ সময়ের জনপ্রিয় মডেল-অভিনেত্রীদের একজন।
লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় নিজের প্রতিভার প্রমাণ দেখার পর বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিনয়ের প্রস্তাব পেতে থাকেন নিশা। তবে শুরুতে খুব বেশি কাজ তিনি করেননি। কারণ জানতে চাইলে নিশা বললেন, ‘বাসায় শর্ত ছিল, আমাকে অবশ্যই পড়াশোনা শেষ করতে হবে। এ কারণে খুব বেশি কাজ করতে পারিনি।’
নিশার নাটকের শুরুটা হুমায়ূন আহমেদের লেখা ও পরিচালনায় ‘স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গ’-এর মধ্য দিয়ে। এরপর অনেক নাটক করেছেন। নিশা অভিনীত ধারাবাহিকগুলোর মধ্যে ‘পাল্টা হাওয়া’, ‘নোয়াশাল’, ‘মায়ার খেলা’, ‘উড়ামন’, ‘নোনা জল’, ‘গপ্পো’, ‘চুপ কথা’, ‘কাগজের বাড়ি’, ‘একদিন ছুটি হবে’ অন্যতম। টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের মডেলও হয়েছেন খুব বেছে। এর মধ্যে রয়েছে অমিতাভ রেজার করা ‘জুঁই নারিকেল তেল’, গাজী শুভ্রর ‘এলিট পেইন্ট’, নাফিজ রেজার ‘প্রাণ ডাল’ ও রানা মাসুদের ‘পারটেক্স ফার্নিচার’।
নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে বলতে গিয়ে নিশা বললেন, ‘আমার পরিবার খুব রক্ষণশীল। মোটামুটি সামরিক শাসনের মধ্যে বড় হয়েছি। সেটা পরিবার, স্কুল, কলেজ সবখানেই। কখনোই কোনো অনিয়ম ছিল না। জীবনে একটাই লক্ষ্য, অভিনয় করে যাওয়া। অনেক অনেক অভিনয় করতে চাই। ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করতে চাই।’
প্রতিশ্রুতিশীল মডেল-অভিনেত্রী নিশা পড়াশোনাতেও বরাবরই ভালো। এসএসসি পাস করেন ক্যান্টনমেন্টের শহীদ আনোয়ার গার্লস স্কুল থেকে। এইচএসসি পাস করেন দেশের অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে। এখন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স শেষ সেমিস্টারে পড়ছেন। পড়াশোনার ব্যস্ততার মধ্যেই অভিনয় চালিয়ে যাচ্ছে নিশা। নিজের সম্পর্কে বললেন, ‘আমি কুম্ভ রাশির বলেই কি না কখনো কোনো কিছু নিয়ে তাড়াহুড়া করি না। যে কাজটা করি, খুব যত্ন নিয়ে গুছিয়ে করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস করি। সময় পেলে আর ক্লাসের সূচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক না হলে শুটিং করি।’
ক্লাস-শুটিংয়ের বাইরে কী করেন জানতে চাইলে হেসে নিশা বললেন, ‘ফ্রি থাকলে বন্ধুদের সাথে বাইরে খেতে যাই। সিনেমা দেখি। পরিবারকে সময় দিই। আর যখন একদমই ঘরে থাকতে হয়, তখন বই পড়ি। আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু বই। সবার সাথে নিজের ব্যক্তিত্ব ধরে রেখে চলি। এটাই আসল।’
নিজের ভালোলাগা সম্পর্কে নিশা বললেন, ‘আমার ভালো লাগে প্রেজেন্টেবল হয়ে থাকতে। পরিবারকে সময় দিতে, বই পড়তে, বন্ধুদের সাথে ভালো কিছু সময় কাটাতে। খেতে ভালোবাসি, তবে রান্না একেবারেই করি না।’